বিশ্বের সব চেয়ে দামি মাস্ক – সিদ্ধার্থ সিংহ

বিশ্বের সব চেয়ে দামি মাস্ক বানাতে চলেছে ইজরায়েলের ওয়েইভেল নামের এক জুয়েলারি কোম্পানি। ১৮ ক্যারেটের সোনার সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩৬০০টি সাদা এবং কালো হিরের টুকরো। এটার ওজন হবে ২৭০ গ্রাম। মানে সার্জিক্যাল মাস্কের চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ ভারী। 

এত দাম দিয়ে বানালেও এটা ভাইরাস প্রতিরোধে কতটা কার্যকরী হবে তা অবশ্য গ্যারান্টি দিয়ে কিছু জানাননি ইজরায়েলের ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংস্থা ওয়েইভেলের মালিক, আইজ্যাক লেভি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, এই মাস্কে একটি এন নাইন্টি নাইন ফিল্টার বসানো হবে, যা ভাইরাসের কণা থেকে রক্ষা করবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, হিরের পরিমাণ এবং সোনার ওজনের জন্যই এটি দুনিয়ার সব চেয়ে দামি মাস্কে পরিণত হচ্ছে। এর পরে অন্য কোনও কোম্পানি যদি এর চেয়েও দামি কোনও মাস্ক বানিয়ে ফেলে, তা হলে আমরা তার চেয়েও দামি মাস্কের ক্রেতা খুঁজব।

যিনি এই মাস্কটির অর্ডার দিয়েছেন, সেই ক্রেতার নামধাম গোপন রেখেছেন ওই সংস্থাটি। তবে ওই সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, এই মাস্ক বানানোর ক্ষেত্রে ক্রেতা তাঁদের তিনটি শর্ত দিয়েছেন। প্রথমত শর্ত, মাস্কটি এফটিএ অনুমোদিত হতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ বছরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই এটা সরবরাহ করতে হবে। আর তৃতীয়টি হল, এটিকে হতে হবে পৃথিবীর সব চেয়ে দামি মাস্ক।

সেই সব শর্ত মাথায় রেখেই ওই জুয়েলারি সংস্থাটি কাজ শুরু করছে। খরচ পড়ছে দেড় মিলিয়ন ডলার, মানে ভারতীয় মুদ্রায় ১১ কোটি ২২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা। এই মাস্কটি তৈরি করা হচ্ছে এন 99 মডেলের আদলে।

এত দামি মাস্কের অর্ডার দেখে অবাক হয়েছেন খোদ নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীরাও। এক কর্মী তো বলেই ফেললেন, এর আগে এমনটা আমি কখনও দেখিনি। খুব অল্প জায়গার মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে হিরের টুকরো বসাতে হচ্ছে। আমরা মোট ২৫ জন স্বর্ণশিল্পী দিনরাত এক করে এই বিশেষ মাস্কটি তৈরি করছি।

নামধাম জানা না গেলেও এটা জানা গেছে যে, বিশ্বের সব চেয়ে দামি এই মাস্কটি অর্ডার করেছেন এক শিল্প সংগ্রহকারী চিনা ব্যবসায়ী। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

এর আগে অবশ্য সোনার মাস্ক পরে জনসমক্ষে এসে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন ভারতের এক ব্যবসায়ী। কিন্তু চিনের এই ব্যবসায়ীটি যা করলেন, তাতে মনে করা হচ্ছে, সব কিছুকে ছাপিয়ে চিরকালের জন্য তিনি একটি বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করে ফেললেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *