আজ ছ বছর দেখি নাই
হাসি খুশি উচ্ছ্বাসে ভরা
প্রাণবন্ত আমার বাবাকে।
ফিরতে দেরি হলে যে মানুষটা
হরদম ঘর-বার করত
সেই মানুষটাকে।
নতুন কিছু লিখলেই
না শুনিয়ে নিস্তার ছিল না আমার।
মনে পরে একদিন লাঙলচষে আসা
গ্রীষ্মের দুপুরে —
আসামাত্রই তক্কে তক্কে থাকা
সদ্যলেখা কবিতা ফরফর করে
শুনিয়েছিলাম,বলতে ক্ষতি নেই
সে লেখাটার পুরোটাই ছিল উল্টো
,আসলে শাস্ত্রজ্ঞান বলতে ষষ্ঠশ্রেণীর
ছাত্রের যা হয় ঠিক তাই।গবলগণি মুনির নামে হাসি পেত খুব।আজ গীতার আলোচনা লিখে
একহাজার কপি বিক্রি!দু তিনটে বই
ইন্টার ন্যাশানাল স্ট্যান্ডার্ড বুক নাম্বারে
ছাপা হয়েছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আলমারিতে
সাজানো থাকে তারা।কত জায়গা থেকে প্রশংসার
ঢেউ আছড়ে পড়ে এই বুকে।
ভেতরটা খালি খালি করে
বাবার জন্য হতাশাগুলো শোকে
পাখি হয়ে
যন্ত্রণায় বিদ্ধ হয় বুকে।
#
মনে হয় বাবার বিকল্প
আর কিছু নেই।