” তোমার আবার কী হল! আর একমাস পর আমাদের বিয়ে আর তুমি অভিমান করছ!” অবাক হয়ে প্রশ্ন করল শীর্ষ।
” অভিমান করছি না তবে আমার একটা ইচ্ছা আছে আর সেটা পূরণ না হলে আমি এখন বিয়ে করতে পারব না ।” কঠিন ভাবে কথাগুলো বলল রুমি।
” কী ইচ্ছা!”শীর্ষ জানতে চাইল।
” তুমি একটা নতুন ফ্ল্যাট নাও। আমরা বিয়ের পর সেখানেই থাকব। তোমার বাবা-মা-র সাথে তোমাদের পুরানো ফ্ল্যাটে থাকতে পারব না। তুমি চাইলে আমার বাপি তোমাকে হেল্প করতে পারেন।”রুমি ইচ্ছা প্রকাশ করল।
” তোমার বাপির হেল্প আমার চাই না আর এত অল্প সময়ে নতুন ফ্ল্যাট বুক করা নেক্সট টু ইমপসিবল।” শীর্ষ বোঝানোর চেষ্টা করল।
” ঠিক আছে। তবে ওঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দাও। কিন্তু বিয়ের পর আমি সেম ফ্ল্যাট শেয়ার করতে পারব না ।” রুমি নিজের ইচ্ছায় অনড় থাকল।
” কিন্তু একই ফ্ল্যাটে থাকলে অসুবিধা কোথায় ? আমাদের তো থ্রি বি এইচ কে ! ” শীর্ষ অবাক হল।
” আমাদের প্রিভেসি নষ্ট হবে। যখন তখন তোমাদের আত্মীয়রা এসে নতুন বউয়ের মুখ দেখতে চাইবে। এই ডিস্টারবেন্স আমি নিতে পারব না। তোমার বাবা-মা থাকলে আমি নাও করতে পারব না। প্লিজ শীর্ষ প্রব্লেমটা বোঝার চেষ্টা কর!” রুমি কাতর হয়ে বোঝানোর চেষ্টা করল ।
শীর্ষ চুপ করে কিছুক্ষণ চিন্তা করল। তারপর বলল,” আমাকে একটা বছর সময় দাও। আমরা তারপর বিয়ে করব।”
” এই তো বিয়ে করার জন্য লাফাচ্ছিলে এখন একবছর সময় চাইছ!” রুমি প্রশ্ন করল।
” ইয়েস ডার্লিং, আমি সেম ফ্লোরে মুখোমুখি দু’টো ফ্ল্যাট নেব। এই বয়সে আমি বাবা- মা -কে চোখের আড়াল করতে পারব না আবার তোমাকেও ছাড়তে পারব না ।” শীর্ষ উত্তর দিল।
” ওয়েলডান , তুমি একশোতে একশো পেলে।” একগাল হেসে বলল রুমি।
” মানে কী?”অবাক হল শীর্ষ।
” আমার দু’টো অপশনের একটাও যদি তুমি মানতে তাহলেই আমি তোমাকে বিয়ে করতাম না। কারণ যে ছেলে বিয়ে করার জন্য নিজের বাবা-মাকে ছাড়তে পারে তার নিজের বউকে ছাড়তে কোনও কারণই দরকার হয় না ।” শীর্ষর হাতটা শক্ত করে ধরে বলল রুমি ।