বাসা – অভিষেক সাহা

 ” তোমার আবার কী হল! আর একমাস পর আমাদের বিয়ে আর তুমি অভিমান করছ!” অবাক হয়ে প্রশ্ন করল শীর্ষ।

” অভিমান করছি না তবে আমার একটা ইচ্ছা আছে আর সেটা পূরণ না হলে আমি এখন বিয়ে করতে পারব না ।” কঠিন ভাবে কথাগুলো বলল রুমি। 

” কী ইচ্ছা!”শীর্ষ জানতে চাইল।

” তুমি একটা নতুন ফ্ল্যাট নাও। আমরা বিয়ের পর সেখানেই থাকব। তোমার বাবা-মা-র সাথে তোমাদের পুরানো ফ্ল্যাটে  থাকতে পারব না। তুমি চাইলে আমার বাপি তোমাকে হেল্প করতে পারেন।”রুমি ইচ্ছা প্রকাশ করল।

” তোমার বাপির হেল্প আমার চাই না আর এত অল্প সময়ে নতুন ফ্ল্যাট বুক করা নেক্সট টু ইমপসিবল।” শীর্ষ বোঝানোর চেষ্টা করল।

” ঠিক আছে। তবে ওঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দাও। কিন্তু বিয়ের পর  আমি সেম ফ্ল্যাট শেয়ার করতে পারব না  ।” রুমি নিজের ইচ্ছায় অনড় থাকল।

” কিন্তু একই ফ্ল্যাটে  থাকলে অসুবিধা কোথায় ? আমাদের তো থ্রি বি এইচ কে ! ” শীর্ষ অবাক হল।

” আমাদের প্রিভেসি নষ্ট হবে। যখন তখন তোমাদের আত্মীয়রা এসে নতুন বউয়ের মুখ দেখতে চাইবে। ‌এই ডিস্টারবেন্স আমি নিতে পারব না। তোমার বাবা-মা থাকলে আমি নাও করতে পারব না। প্লিজ শীর্ষ প্রব্লেমটা বোঝার চেষ্টা কর!” রুমি কাতর হয়ে বোঝানোর চেষ্টা করল ।

শীর্ষ চুপ করে কিছুক্ষণ  চিন্তা করল। তারপর বলল,” আমাকে একটা বছর সময় দাও। আমরা তারপর বিয়ে করব।” 

” এই তো বিয়ে করার জন্য লাফাচ্ছিলে এখন একবছর সময় চাইছ!” রুমি প্রশ্ন করল।

” ইয়েস ডার্লিং, আমি সেম ফ্লোরে মুখোমুখি  দু’টো ফ্ল্যাট নেব। এই বয়সে আমি বাবা- মা -কে চোখের আড়াল করতে পারব না আবার তোমাকেও ছাড়তে পারব না ।” শীর্ষ উত্তর দিল।

” ওয়েলডান , তুমি একশোতে একশো পেলে।” একগাল হেসে বলল রুমি।

” মানে কী?”অবাক হল শীর্ষ।

” আমার দু’টো অপশনের একটাও যদি তুমি মানতে তাহলেই আমি তোমাকে বিয়ে করতাম না। কারণ যে ছেলে বিয়ে করার জন্য নিজের বাবা-মাকে ছাড়তে পারে তার  নিজের বউকে ছাড়তে কোনও কারণই দরকার হয়  না ।” শীর্ষর হাতটা শক্ত করে ধরে  বলল রুমি ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *