ফকির
মোঃ সাজ্জাদুর রহমান সাগর
ওগাে কে আছাে! সুন্দর সূভ্রনীড়ে ,
এসেছি আমি অভাগা বুড়াে বাড়িয়েছি হাত দাও, দিও নাকো ফিরে।
খুলে দাড়, এলাে চলে মহিয়সী ঝমকালাে বাহার,
উফ দুর্গন্ধ যেন স্তুপ, পড়েছিলে সড়ক পাড়ে,
নক্ষ বন্ধ করে করিল দান দন্ড কয়েক আদার ,রাখিলাে সে থলির তরে।
ছিনু যদি তব অট্রালিকা সুন্দর পিড়াণ,
আসিনু কি হায় কভু তাের ঘরে ?
বলতাম নাহি কিছু ওগাে দাও দাও কিছু, আর করতাম না বয়ান।
দিবা কেটে যায় পাও নাহি চায় যাই নীড় বিনীড় দুর থেকে দুরে।
যাই তব ঠাই নাই আছি ভােকে,একটু খাবাে পেট পুড়ে।
মিনতি খােদা তােমার তরে বেঁচে এই ধরণীর মাঝে করিও রহম
পাও দুখানা মাের মটর যান না বাধিও যখম।
করিনু সেদিন কাহিনী সুশীন, হাসিতে চোখ ঝড়ে,
পাইনু পরিয়া দামী পােশাক পরিনু সাহেবের মত করে.
ডাকিনু কে আছাে মাগাে! একটু কর দান,
না খেয়ে আছি কদিন ,করিলে দান আখিরাতে পাবে সম্মান।
দিলােই না কিছু হাটিলাে পিছু ,উফ! ঢং কত! দামি পােশাক, ভিক্ষা করে।
অশ্রুসজল রাঙ্গিয়ে দু চোক তাকানু, হে মহান,
মানুষ মোরা পশু নই,কি ভুল করেছি জীবনে যার জন্য শুনিনু অপমান।
বিলাস ভরা বাড়ি দেখিনু চুপ করি, সাহেবের কোলে শুভ্র শিশু করিছে আদর,
দেখিনু পরে নয় শিশু তব বান্দর একখানি।
খায় খাবার লক্ষ বাহার মানুষ মহা ধণী।
গেনু অন্দর বলিনু সাহেব না খেয়ে আছি, কর দান পাবে মান দান কর কিছু করি,
ধরায় দিলো চকচকে এক আদলি, এক টাকার এক কানা করি।
নাই শান পাই না মান ক্ষুদায় যাই মরি।
ফরিয়াদ হে খোদা যাও নিয়ে ধরনী ছেড়ে জান্নাতি সুন্দর নীড়ে।
থাকবো সেথায় ডাকবো তোমায়, তুমি মহান দিবে না ফিরে।