এ বঙ্গের কোন এক অনামি গ্রামের মাঝে
আমি হারিয়ে যাব ।
খড় দিয়ে ছাওয়া
পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘর বাঁধবো ।
বর্ষায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা ভরা রাস্তা,
আর জল জমা পানা পুকুর,
শাপলা ভরা বিল আর ঘুনি ভরা মাছ,
প্রত্যেকটি দিন চোখ জুড়াবে ।
কুয়াশা ঘেরা শীতের সকালে
তাল, খেজুরের রস
আর কামিনী ফুলের গন্ধ
ভেসে বেড়াবে বাতাসে ।
সন্ধ্যায় শরীর উম্ করার জন্য
কাঁঠাল পাতার আগুন
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে ক্ষণিক বিঘ্ন ঘটাবে ।
নীলাকাশের মাঝে সাদা মেঘ
শরতের বার্তা নিয়ে আসবে ।
তখন খাল পাড়ের কাশ বনে
ওরা খেলে বেড়াবে ।
মাঠের ওপারে বাড়ি ওদের
দুরন্ত কিন্তু নিষ্পাপ ।
যখন ঢাকের বাদ্যি বাতাসে ভাসবে
ওরা বিল থেকে পদ্ম ফুল
আর কাশ ফুলের তোড়া উপহার দেবে ।
আমিও ওদের মুড়ি বাতাসা দিয়ে
একটু হাসি কিনে নেবো ।
শিউলি ফুল কুড়িয়ে
ওরা খেলতে লাগবে ।
গাছে গাছে কোকিলের গান
আর দূর থেকে ভেসে আসবে
কোন এক রাখালের বাঁশির সুর,
মাঝে মাঝে হাঁসেদের জলকেলি ।
ঝোরো বাতাসে বাঁশ বাগানের
মড় মড় শব্দ আর
দোয়েল ফিঙের ওড়া উড়ি …
এসবের মাঝে মিলিয়ে রবো ।