
বাংলা মা আমার আমি তোমাকে ,
বড্ড বেশি ভালো বাসি।
গর্ভধারিণী মা যে আমার ,
পথপানে চেয়ে বসে রয়েছে।
মা গো পাছে তুমি কষ্ট পাও,
ব্যক্ত করতে পারিনা কষ্টের কথা।
যখন বলো কেমন আছিস খোকা,
বলিলে বলি ভালো আছি মা।
মানবতা আজ হারিয়ে যায়নি,
আত্মসমর্পণ করেছে বেইমানির কাছে।
তথাকথিত বুদ্ধিজীবী আজ কোথায়,
তারা যে এখন নির্বাক নিরপেক্ষ।
মৃত্যু ভয় হার মানতে বাধ্য হয়েছে ,
ক্ষুধার্ত মানুষ গুলির কাছে।
এখন সহানুভূতির থেকে বেশি,
বেত্রাঘাত টাই জুটছে।
ক্ষুধার অগ্নি জ্বলছে পেটে,
বহু ক্রোশ পথ হেঁটে দেবে পারি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্টের আর্তনাদ,
শীতল বদ্ধ ঘরে পৌঁছায় না।
ক্ষমতার গদিতে বসে আজ,
মিলছে শুধুই প্রতিশ্রুতি।
এই দূরনীতির দেশে ভাই,
অনাদর টাই আমাদের প্রাপ্য।
ভাই তোদের চোখের জল,
অভিশাপ হয়ে ফিরবে জীবনে।
গরিব মানুষের রক্তের স্বাদ,
ওঁরা কখন ভুলতে পারবেনা।
সত্য মিথ্যার জাঁতাকলে আজ,
আমরা যে বড়ো অসহায়।
অসহায় মানুষগুলির অপর নাম,
হয়েছে আজ করোনা।
ভাই তোমাদের কষ্ট বুকের ভিতর,
পাথরের মত অনুভব করছি।
কিছু ঘটে যাওয়া দৃশ্য এতটাই করুণ,
ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।
মা যে আজ ছোট্ট শিশু কোলে ,
রাস্তা দিয়ে হাঁটছে গন্তব্যের দিকে।
মায়ের কাছে ফিরতে গিয়ে আজ,
ক্লান্তি ক্ষুধায় রেল লাইনে নিথর দেহ।
আজ হঠাত্ ঘরে লেগেছে আগুন,
তাই তোমরা নিজেদের গা ঝারতে ব্যস্ত।
পরিযায়ী শ্রমিকরা দেবে ঠিক সময়,
নিজেদের বুদ্ধি মাত্রার পরিচয়।
ধরিত্রী মা আবারও শান্ত হবে নিশ্চয়,
বুনো ফুলের বোনে লাগবে দোলা।
পাখি আবারও উঠবে গেয়ে কলরবে ,
সুস্থ ভাবে ঘরে ফেরার প্রার্থনা করি ভাই।