আট বছরের ছেলে তার নাম রণজয়
পড়াশোনায় খুবই ভাল,শ্রেণীতে প্ৰথম হয়।
হাসিখুশি এই ছেলেটি দেখতে ভারী মিষ্টি
সবচাইতে সুন্দর বুদ্ধি দীপ্ত চোখ দুটি।
যেমন ভালো পড়াশোনায়,তেমন খেলাধূলায়
পুরস্কার নিয়েই ফেরে সকল প্রতিযোগিতায়।
হঠাৎ করে জীবনে তার ঘটল অঘটন
মাকে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলো মরণ।
এরপরে যখন স্কুলে আসে রণজয়
সে যেন এক অন্য ছেলে দেখে মনে হয়।
পড়াশোনায় মন নেই থাকে চুপচাপ
বুদ্ধিদীপ্ত চোখদুটিতে উদাস উদাস ভাব।
পরীক্ষার ফলেতেও তার ছাপ সুস্পষ্ট
দেখে শুনে শিক্ষিকারা পান ভারী কষ্ট।
রঞ্জিনী ম্যাম প্রিয় তার ,বললেন আদর করে
“পড়াশোনা না করলে জীবনে দাঁড়াবে কী করে?”
“পড়াশোনার সময় মা থাকতেন পাশে বসে
মা ছাড়া পড়াশোনায় কী করে মন আসে?”
বলতে বলতে ছেলেটির দুচোখ জলে ভরে
ম্যাম তখন ছেলেটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে।
অনেকদিন পরে আবার যেন মায়ের মত
স্নেহের পরশ লাগল বুকে জুড়িয়ে দিল ক্ষত।
ম্যাম তাকে আদর করে বুঝিয়ে তখন বলে
“মায়ের মন তৃপ্ত হবে তুমি ভাল ছেলে হলে।”
ম্যামের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে অপলক
ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেল শান্ত বালক।
পরের দিন থেকে সে মনোযোগী ছেলে
মা যে খুশী হবে ও ভালো ছেলে হলে।