নিজের সঙ্গে নিজের কথা – উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

যতক্ষণ না আমি নিজে বুঝতে পারছি যে,আমার কথা,আমার লেখা,আমার ভাবনা চিন্তাগুলো নিয়ে অন্য মানুষের কোনও মাথা ব্যথা থাকার কথাই নয়,যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া সকলেরই নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম…ততক্ষণ আমার কষ্ট হয়েই যাবে।প্রত্যেকেই তার নিজের নিজের কৃতিত্বকে এইখানে প্রচার করবে।এখানে তাই খুব ভিড়।

ফুল পাঞ্জাব ট্রাক,বড়ো বাস,ট্রাম,প্রাইভেট কার, ভ্যান,ঠেলা, অটো, টো টো, মোটো,মায় গরুর গাড়ি।সারাদিন ট্রাফিক জ্যাম।সেখানে ট্রাফিক পুলিশ নেই।থাকলেও তারা নীতি পুলিশ।আইন বলবৎ যোগ্য নয় আর যদি হয়ও বা,ফাঁক তো থাকবেই।সেক্ষেত্রে যদি আমি আমার সামান্য পুঁজি নিয়ে ঢুকি তো যা হবার,তাই হবে।কেউ ফিরেও দেখবে না।দু দশটা লাইক বা বিশেষণের কমেন্ট যদি জোটে ,তার কী মানে, ভাবলে কান্না পাবে।

আসলে তো ওসবের কোনো মানেই নেই।তাই নিজেকে পাতে দেবার চেষ্টা না করে নিরাসক্ত হয়ে অন্যের কৃতিত্বে লাইক করে তার খিদেটা আরও বাড়িয়ে দেওয়াই ভালো।প্রশংসাসূচক অনেক সংকেত আছে।একটা লাগিয়ে দিলেই চলবে।

এমন ভাবে মাসখানেক মোহমুক্ত হয়ে পাঠক বা দর্শক সেজে থাকতে পারলে আমারও কপালে অমন প্রশংসা নিশ্চয়ই জুটবে।হোক না ফাঁকা,তবু মানুষ তো।মোহমুক্ত হওয়া কি অত সহজ?

বাগবাজার,

কলকাতা১১.১২.২১.

#storyandarticle

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *