শীতলপুর খুব ছোট একটি গ্রাম।এত ছোট গ্রাম আর কোথাও আছে কিনা জানা নেই।লোক সংখ্যাও তাই খুব কম!তার উপর আবার পয়সা অলা মানুষ এখানে একটিও নেই।সব গুলোই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ।সুতরাং শারদীয় দুর্গা পূজা এখানে কোন বছরই হয় না।বছর বছর যে যেখান থেকে পারে গিয়ে দেখে আসে।তবে ঠাকুরের এই গ্রামের মানুষদের প্রতি যদি কোনদিন করুণা হয় তো সেদিন অবশ্যই হবে।পুজো দেখতে সেদিন আর গ্রামের কোন মানুষকে বাইরে যেতে হবেনা।যদিওবা কেউ যায় সেটা হবে শখ করে।
যাইহোক,এই গ্রামেরই একটি মেয়ে হল আগমনী।বয়স তার দশ এগারোর বেশি হবেনা।তার বুকের জালি স্তন দুটি সবে শঙ্খ আকৃতি নিয়ে উঠছে।তাতেই চোখ পড়ে যায় কামুক পুরুষদের।
সে তার দিদিমা,মা ও কাকিমাদের সাথে পাশের গ্রাম চৈতন্যপুরে পুজো দেখতে যায় এবং সেখান থেকে সে অনেক লোকের ভিড়ে তাদের সাথ ছাড়া হয়ে যায়।সন্ধ্যার পর তাই সে তাদের খুঁজে না পেয়ে নদীর ধার ধরে হেঁটে একা বাড়ি ফিরতে থাকে।”দুর্গা মা কি জয়” অন্তরে এই কথা বলতে বলতে।যেকারণে সে একা থাকলেও তার কোন ভয় করেনা।কারণ তার মনে এই বিশ্বাস আছে যে,সে এখন দেবী দর্শন করে আসছে তার দরুন তার কোন বিপদ হবেনা।আর বিপদ কোন যদিওবা হয় নিশ্চয়ই সর্বমঙ্গলা মা দুর্গা তাকে রক্ষা করবেন,নিশ্চয়ই করবেন।সুতরাং কিছু দূর এসে সে দুটি উন্মত্ত শয়তানের সামনে পড়ে গেলে তারা তাকে দাঁড়াতে বলে,”এই দাঁড়া।”
আগমনী দাঁড়িয়ে যায়,”কি হল,বলো।”
এরপর বলা নেই কওয়া নেই আগমনীর হাত ধরে তারা নিচের দিকে টানতে শুরু করে।নিচে বিরাট কাশবন।আগমনী বুঝতে পারে,সেখানে নিয়ে গিয়ে তারা তাকে কি করবে।এই কারণে আগমনী নিচে যেতে চায়না।বরং সে তাকে ছেড়ে দিতে বলে।কিন্তু তার কথা তারা যখন শোনে না আগমনী তখন “দুর্গা মা কি জয়” বলে তাদের চোখে,মুখে থুতু ছিটাতে থাকে।আর তারা অন্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।”দুর্গা মা কি জয়”এর কি গুণ!