তুমি বনলতা সেন, তুমি নীরা – দেবদাস কুণ্ডু

          এক

অসুখ, মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙে 

জেগে ওঠো তুমি অন্ধকারে

বুকের গভীরে ব্যাথা, অগভীরে যন্ত্রণা

পৃথিবীর বুকে হারানো বালকের চোখে

অশোকের শোক অপূর্ব জ্বলছে

নীল ফুলে  নীলকন্ঠ হয়েছে ভুবন

মৃত্যু এসে দাঁড়ায় চৌকাঠে

বনলতা সেন তুমি তখন বাড়িয়ে

দাও সবুজ পাত্র, অমৃত সুধা ।

             দুই

জানি এই হাত শুঁয়েছে

তোমার স্তন যুগল

এই হাত পুড়বে আগুনে

এই চোখে দেখেছি 

তোমার চোখের অজস্র নক্ষত্র 

 এই যুগল চোখ পুড়বে আগুনে

যে আমার বুকে মিশে ছিলে 

তুমি অন্ধকারের মতো

আগুনে ফাটবে সেই পাঁজর

যে ঠোঁটে করেছি তোমায় চুম্বন 

সেই ঠোঁট পুড়বে না আগুনে

ঐ ঠোঁট নিস্পাপ

, বললে তুমি নীরা।

                   তিন

তোমার শাড়ি হলুদ, টিপ হলুদ, চুরি হলুদ।কেন? 

হলুদ মানে বিবর্ন, হলুদ মানে জীর্ণ, হলুদ মানে—

আমি বলছি বনলতা,সেন, হলুদ মানে পাখি, হলুদ মানে কাঁচা সোনা

হলুদ মানে অসুস্থ যকৃতের সংগে ভালবাসার মাখামাখি। 

                    চার

দিনের শেষে ফুরিয়ে আসে আলো

উদ্বাস্ত জীবন ছড়িয়ে এখানে সেখানে

মরা নদীর চূড়ায় হাঁসের রক্ত মাখা সাদা পালক

জীবনকে  ছুঁতে ছুঁতে একটা মানুষ হয়ে ওঠে উন্মাদ 

বনলতা তুমি তাকে নিয়ে করবে ঘর সংসার।। 

               পাঁচ

আমি ঘর বেঁধে ছিলাম চাঁদের সংগে

তখন শুধু  শুভ্র আলো আর আলো

এখন চাঁদ বলছে, ফুরিয়ে গেছে

সব জ্যোৎস্না 

নীরা তুমি এসে দাঁডালে, পৃথিবীতে উঠলো নতুন চাঁদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *