[post-views]
[printfriendly]
অতীন সেদিন হাসপাতালের বিছানায় এগারো দিন শুয়ে।সে রইল কলকাতার বিছানায়।আর তার প্রিয়তমা পড়ে রইল অপর এক শহর শিলিগুড়িতে আর এক হাসপাতালের বিছানায়,— কারণ কিন্তু সেই অদ্ভূত অনন্য একমেব্ অদ্বিতীয়ম্– পৃথিবীর জুড়ে জাল ছড়ানো আজকের এই ভয়ঙ্কর অতিমারী– কোভিড ১৯!
কোনদিন কি সে ভেবেছিল মৃত্যুকে এত কাছের থেকে হাতছানি দিতে দেখবে? না ভাবেনি। সেই মার্চ মাস থেকে কত শত লোকের মৃত্যুমিছিল দেখছিল সারা পৃথিবীজুড়ে।তখনো তো ভাবেনি মৃত্যু তো ওর দুয়ারে যদি কড়া নাড়ে,তখন কি হবে? আশ্চর্য!! হল ও তাই!!
অতীনের স্ত্রী শুভা স্বাস্থ্য দপ্তরের সরকারি চাকরি সূত্রে থাকেন সূদূর শিলিগুড়িতে আর সে তার চাকরি নিয়ে থাকে এই কলকাতায়।ওর স্ত্রী তো চিকিৎসাশাস্ত্রের সাথে যুক্ত, ও কলকাতায় যখনই আসত টেলিভিশনের নিউজ ফিডগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বলত, ‘দেখো, সারা পৃথিবীজুড়ে মৃত্যুর ব্যারোমিটার কেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে!
আজ এত হল, কাল এত হল” ,– অতীন কিন্তু ওই খবরটিই দেখতে চাইত না, বলত , ‘রাখোতো তোমার ওই মৃত্যুর হিসাব, যতক্ষণ কোন ভ্যাকসিন হবে না, এরকম তো হবেই।’ শুভা বড় নিরাশ হত অতীনের কথায়।
অতীন শুভাকে বলত, ‘দেখো তুমি কি ভাবে কাশছ? তোমার ডায়বেটিস এর সমস্যা,তোমার উচ্চরক্তচাপ, পুরোনো যক্ষারোগের ইতিহাস,– তুমি সাবধানে থেকো, তোমার তো ভীষণ কোমর্বিডির সমস্যা।’
ফোনে কথা হলে অতীন বলত,’ এত কাশছ? তার উত্তর আসত ওপার থেকে, যে’ ‘এই তো গতকাল মাইক্রোবায়োলজিতে সোওয়াব দিয়ে এলাম, ওরা বললো, ম্যাডাম আপনার কোভিড নেগেটিভ! ‘ আশ্বাস পেত অতীন। বলত, -‘ তাও দেখো তোমাদের তো একেবারে সামনে থেকে লড়তে হচ্ছে, ওত দায়িত্ব।’ ও বলত , ‘অত চিন্তা কোরোনা তো।–‘
হ্যাঁ, এল সে দিন।তার আগে অতীন খবর পেলাম, ওদের বাজারের বাবুদা, আলুওলা কোভিডে চলে গেলেন, কদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। আবার আর এক দোকনীও হাসপাতালে, এরা সকলেই অতীনের অতি কাছের মানুষ।
১২ই অক্টোবরের সকালে খবর এল শিলিগুড়িতে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শুভাকে।তার দুদিন আগে থেকে অতীনেরর কলকাতায় জ্বর। স্ত্রী পুত্রীর দূরাভাষ-কথা মতো ওষুধ চলছিল অতীনের। কিন্তু ওর ৯ই অক্টোবরে স্বাদ গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, ওকে বুঝিয়ে দিল ও এখানে কোভিড আক্রান্ত!! ওর এক আদরের ভাগ্নে এর মধ্যে পাল্সঅক্সিমিটারটি কিনে দিল।
যদিও অক্সিজেন স্যাচুরেশন তখনো ছিয়ানব্বই, সবাই আশ্বাস বাণী দিচ্ছে, বাড়িতে থেকেই এ চিকিৎসা হয়ে যাবে।অতীন যেন গভীরে ডুবে যেতে লাগল, কেননা ও কোন স্বাদ গন্ধ পাচ্ছিল না।। ওর অফিসের কনিষ্ঠ ভাই কৃষ্ণেন্দু রোববার ১১ই সব পরীক্ষার ব্যবস্থা করল কোভিড টেস্ট এর।১২ই বিকেলে কোভিড পজিটিভ হল। অফিসের সি এম ও সাহেবের ব্যবস্থাপনায় এক্কেবারে একা অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে সেদিন সেই সল্টলেক আমরির বিছানায়। সেদিন রাত পৌনে এগারোটায় ভর্তি হওয়ার আগেও ভাবেনি মৃত্যু এত কাছে।
বেশ একা একা চলে এল সে,ওর সবেধন ভাগ্নে বাবুনকেও কাছে ঘেঁসতে দিচ্ছিল না, ‘এবড়ো কঠিন সময় , কেউ কাছাকাছি এসো না।ও যে জানে যে ওর বাবা মা শ্বশুর শাশুড়ি সকলেই বৃদ্ধ,– দেখার লোক ও একা।
অত রাতে অ্যাম্বুলেন্স তো নামিয়ে দিল আমরি হাসপাতালে। যেই না অতীন জানাল যে কোভিড পজিটিভ,ওমনি সিকিউরিটি লোকজন লাফিয়ে কয়েক হাত দূরে সরে গেল।
আমরির সামনে ওদের সাহায্যকারী আধিকারিক কি ভীষণ ব্যস্ত।,কি ভীড় সেখানে!! মানুষের বেড পাবার জন্য কি হাহাকার!! ওর অফিসের পরিচয়পত্রটি আর আধার কার্ডটি নিয়ে আধিকারিকটি ওকে বললেন, -‘ টেস্ট পজিটিভ রিপোর্টটা এই মেল আই ডি তে মেল করুন তো –”
অতীনের তো তখন হাত কাঁপছে! পা কাঁপছে , সে নড়তে পারছে না।
আধিকারিক তখন বিরক্ত হয়ে, একটি নম্বর দিয়ে বলল, ‘এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করুন।’ সেটাকোনমতে পারলা অতীন অবশেষে। ভাবল মনে মনে,’ ডিজিটাল দুনিয়ার কি মহিমা!’
তারপর চেষ্ট এক্স-রে, সিটি স্ক্যান আরো কত কি? অক্সিজেন স্যাচুরেশন নামল অষ্টআশিতে।প্রবল শ্বাসকষ্ট।এরপর প্রথমে হাসপাতালের কোভিড বাড়ির নয়তলায়। পরদিন থেকে আটতলার এইচ বি ইউ ওয়ার্ডে। নয়দিন অক্সিজেন চলল।কত ড্রীপ,কত নল।কত ওষুধ।কত ডাক্তার।
এই নয়দিনে চারিদিকে শুধু নিকষ কালো অন্ধকার! কি আঁধার!! কত মোবাইল বাজল।অতীন যেন ডুবে যেতে লাগল অতলে, আরো গভীরে!! শুধু একটু মোবাইলে টেক্সট করছে ও সবেধন ভাগ্নেকে, কোথায় টাকা আছে, কোথায় গয়না আছে, কোথায় দরকারি চাকরির, ইন্সিওর্ন্সের কাগজ, কে এজেন্ট।
কি যে লিখছিল ?কে জানে? কত মোবাইল বাজল, ধরতে পারে না। ভাগ্নে কানে বলে,’ মামা গান শোন,’
অতীন কি গান শুনবে? সে কি অবচেতনা!! প্রিয় এক কবিবরের কবিতার লাইন মনে হচ্ছে ওর, —
‘যেতে পারি , কিন্তু কেন যাবো?–
—— —–
—-‘ চিতা কাঠ ডাকে, আয়–, আয়–
——– ——
— সন্তানের মুখ ধরে একবার চুমো খাব—‘
ও তো ওরকম কিছূতেই বলতে পারছে না। ও শুধু ডুবে চলেছে। ‘সিনকিং!!! ড্রৌনিং!!’
ওর ইনসিওরেন্স এজেন্ট মহিলা হোয়াটসঅ্যাপে মা তারার ছবি পাঠাচ্ছেন,
বলেছেন,–‘ মাকে সব বলুন, আপনাকে রক্ষা করবেন।’
অতীন তখন অবচেতনের এক আশ্চর্য জগতে।এও হয় ? মানুষ এভাবে খাদের কিনারে পৌঁছে যায়? একটা টোকা দিলেই কোথায় কে? বাড়িঘর, বিষয় সম্পত্তি, স্ত্রী পুত্রী সব পড়ে রইল কোথায়!! প্রিয়তমা ,আজ তুমি কত দূরতমা!
অন্ধকারে গাঢ় , হালকা সবুজ, সাদা, সিস্টার, নার্সিং স্টাফরা যখন অ্যাস্ট্রোনটএর মতন ড্রেস পড়ে দাঁড়িয়ে থাকত মাথার পাশে তখন মনে হত , এরাই বুঝি দেবদূত!! দেবদূতরা এত সুন্দর হয়?
ওর পাশের বিছানায় এক বয়স্ক স্বনামধন্য ডাক্তার , ডঃ রায়, ওকে কেবল আশ্বাস দিচ্ছেন, তিনি নিজেও ভর্তি, ওর মেয়েরও নাকি কোভিড , মৃদু উপসর্গ, বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে। ডাক্তারদের কত মনের জোর।
বলছেন,–‘আরে আপনি তো সতের দিনে বাড়ি।’
শুভ্রার নিজের অসুস্থ শরীরে ওকে মোবাইলে আশা জোগাচ্ছে।কি অসম্ভব ওর মনের জোর!! নিজের অক্সিজেন, ইনসুলিনের ব্যবস্থা করছে সেই সূদূরে, আবার ওকে মৃদু বকাবকি, কি আশ্চর্য মনোবল!! আবার অতীনের অফিসের সি এম ও সাহেবের সঙ্গে মোবাইলে আলোচনা। আর আছে অতীনের মাতৃসমা দিদির মধুর আশ্বাস! কর্ণমন্ত্রে।
ওই কষ্টের মাঝে পাশের বেডের ডঃ রায় ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি তিন ভাষায় মোবাইলে কত লোককে কতরকম পরামর্শ দিচ্ছেন, কাউকে বলছেন, এক তারিখের পর চেম্বার, কাউকে বলছেন, কলকাতার বাইরে আছি। কি অসম্ভব মনের জোর!! ডাঃ রায় একদিন পিঠ চাপড়ে বাড়ি চলে গেলেন। বললেন, ‘আপনি ও যাবেন।’
ওই বেডে এক নতুন দাদা। বেশ ঘুরে ঘুরে বেড়ান, আর সন্ধ্যে হলে গুনগুন করে গান করেন , – ‘হবে জয়, হবে জয়। ‘
আহা !ওর জীবন যেন ভরে যাচ্ছিল সেই কথা দুটোতেই।’ হ্যাঁ, হবে জয়!!’
আশেপাশের কেউ বলে, ‘অমুক বড় ডাক্তার কে চিনি,কেউ বলে আমি বড় কবি,আমি বড় চাকুরে।’অতীন যেন কিছুই ভাবতে পারেনা। দুশ্চিন্তায় ভাবনায় যে কিছুই ভালো লাগে না।
আর সেইসব দীর্ঘ দীর্ঘ বিনিদ্র রজনী? সে যে পার করা কি কঠিন কাজ? অতীনের গলা থেকে বুক থেকে সব কিছুই শুকিয়ে কাঠ। বোতলের পর বোতলের জল শেষ। পুরো ওয়ার্ড যেন ঘুমোচ্ছে,সব রুগীর মাথার ওপর কম্পিউটারের মনিটরে কত হিসাব জানাচ্ছে।কত রকম আওয়াজ চারিদিকে।
আর সে জেগে রয়েছে এক অবচেতনের প্রান্তবিন্দুতে। আলোআঁধারিতে কত কি হাবিজাবি দেখছিল!!
দেখছিল যেন ২০২২ সালের ২৩শে জানুয়ারি। পৃথিবী জুড়ে কয়েক কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটে গেছে ওই কোভিডে।অতীন দেখতে পাচ্ছে, কি সুন্দর ছোট ছোট বাচ্চারা মুখে মাস্ক–সুন্দর স্কুল-ড্রেস পড়ে ইস্কুলে চলেছে সকাল থেকে। সেখানে আন্টিরা সব ব্যবস্থা করে রেখেছে,–সেদিন থেকে বাচ্চাদের কোভিডের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হচ্ছে। বাচ্চারা লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে।
এ যেন এক আনন্দ উৎসব,এক শাপমুক্তির মরিয়া প্রচেষ্টা।গত দুই বছর যে সব উৎসব থমকে ছিল,আজ যেন এই ভ্যাকসিন পাওয়ার উদযাপন দিকে দিকে ,প্রতি ইস্কুল ,কলেজ অফিস, কাছারিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে এই নেতাজীর জন্মদিনে।
অতীন অবাক হয়ে ভাসা ভাসা দেখছে ওর মা ওকে ইস্কুলে পৌছে দিয়ে নিজের ইস্কুলের কাজে চলে গেল।ওর সব কেমন সব এলোমেলো হয়ে গেল। কখনো ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখছে, আবার কখনো নিজের ছোটবেলাকেই দেখছে, তখনকার স্কুল ড্রেস, তখনকার আন্টিরা,—সেই আভাদি,সেই হেনাদিকে দেখছে। হোসেনদাকে দেখছে। কি আশ্চর্য!! কেউ বকছে আবার কেউ ওর গাল টিপে আদর করছে।এ কি অবচেতনা!!
দূর! ২০২২ সালে কি করে ওরা আসে? সব ওলটপালট হয়ে গেছে।এমন সময় পাশের বেডের বৃদ্ধর সজোরে কাশি! আধো ঘোর ভেঙে গেল অতীনের।
আর তো ঘুম আসে না । চারিদিক অন্ধকার। প্রত্যেক বেডের মাথার মনিটর জানান দিচ্ছে কত না ঝিকমিক নম্বরের।অতীন জেগে বসে থাকে।
সরকার ঘোষণা করেছে যে, স্বাস্থ্য কর্মী, ডাক্তার,– এদের তো প্রথমেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।সারা দুনিয়ার গোটা পাঁচেক কোম্পানি এই ভ্যাকসিনের লাইসেন্স পেয়েছে মনে হয়।
বিরাট প্রতিযোগিতা চলছে অক্সফোর্ড, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, আমেরিকার কোম্পানিগুলোর মধ্যে।সারা পৃথিবীতে এখন বিরাট কর্মযজ্ঞ এই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ারকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর জন্য।
ক্ষমতাশালী নেতৃবৃন্দের সে কি দড়ি টানাটানি,কে কিভাবে জনগনকে বোঝাবে যে তারা মানুষের কত কাছাকাছি।
অতীন ভাবে যদি সত্যিই ২০২২ তে ভ্যাকসিন আসে তবে তো ততদিনে দুনিয়ার কয়েক কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটবে।এই দেশে আরো কয়েক লাখ মরবে। কোন পরিবার কি পার পাবে এই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে? মনে হয় না। হাসপাতালের বেডই তো হবে তখন অপ্রতুল। কোথায় অক্সিজেন? কোথায় ভেন্টিলেটর?
অতীনের মনে তখন সাত পাঁচ ভাবনা।সে আনসান ভাবনায় নিমজ্জিত,— ‘এরমধ্যে আবার অন্যরকম সমস্যা দেখা দেবে। মহামারি আইনের প্রভাব খাটিয়ে এতদিন যেভাবে বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছিল, তাতে অন্যান্য রোগের রোগীদের প্রতি চূড়ান্ত অবহেলা করা হয়েছে।
এবার বেসরকারি হাসপাতালগুলো আর সেরকম রোগীরা মহামান্য আদালতের দ্বারস্থ হলেন বলে। আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করবে করবে করছে তাদের ক্ষতির জন্য।’
এদিকে আদালতে তো দৈনিক হাজার হাজার মানুষের পদচিহ্ন, যেখানে কোথায় সামাজিক দূরত্ব? কে মানবে ‘কোড অব কন্ডাক্ট’? এ এক ভীষণ দিনকাল।
হাসপাতালে শুয়ে আর এক রাতে অতীন আলোছায়ামাখা এক মায়াময় চলচ্ছবি দেখতে পায়। কলকাতা হাইকোর্টের চত্বরের ভিতর খুব ধূমধাম করে জগদ্ধাত্রী পুজো চলছে,অনেকটা চন্দননগরের মতন। সেখানে কারুর মুখে কোন মাস্ক নেই ,– এ যেন মুখাবরণ থেকে মুক্তি পাওয়ার উদযাপন চলছে।মানুষ মহোল্লাসে মন্ডপচত্বরে পুজোর ওম নিচ্ছে,ভোগ ভক্ষণ চলছে।
এ যেন এক আশ্চর্য ‘লিবারেশন’!! এ যেন বাঁধ ভাঙার উচ্ছাস!! সেই উদযাপনে যেমন মহামান্য জজ, ব্যারিস্টার, অ্যাডভোকেটরা সামিল হয়েছেন, তেমনি সাধারণ কর্মচারী, বিচারপ্রার্থী জনগণ ও যেন খুশিতে অবগাহন করছে।সে কি আনন্দ! সকলেই ভ্যাকসিন আসার আনন্দে বিভোর।এ কি দেখছে অতীন? কারো মুখে তো আবরণ দেখছে না।এও কি হয়?
সহসা ঘোর কেটে যাওয়ায় অতীনের মনে হল,’আরে, জগদ্ধাত্রী পুজো তো নভেম্বর মাসে হয়,তবে কি ২০২২ নভেম্বর পর্যন্ত ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে? নাকি ২০২১? কে জানে? তাহলে তো দুনিয়া জুড়ে মৃত্যু মিছিল আরো বাড়বে।
অতীন শুনেছে ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয়।তাই ও ঠিক বুঝেছে যে ভ্যাকসিন তাহলে নিশ্চয়ই আসছে।আসছেই॥