জীবনের যখন তখন : সোনালী গরাই

*জীবনটা তখনই সুন্দর ছিলো, যখন জানতাম না জীবনের মানে টা কি?
*জীবনটা তখনই সুন্দর ছিলো,যখন জানতাম না চিন্তা কিভাবে করতে হয়?মায়ের কাছে বলতাম মা এতো কিসের? চিন্তা করো আর কিভাবে করো আমাকে একটু শেখাবে??মা বলত একদিন ঠিক শিখে যাবি, আজ মা কে বলতে ইচ্ছা হয় মা আমি চিন্তা করতে শিখে গেছি।
*জীবনটা তখনই সুন্দর ছিলো,যখন কোন হাত খরচের প্রয়োজন পড়তো না। ২টাকা,৫টাকা দিয়ে দিব্যি দিন কাটানো যেত।
*জীবনটা তখনই সুন্দর ছিলো,যখন সন্ধ্যা নামলেই হ্যারিকেন জ্বালিয়ে ভাই বোন মিলে পড়তে বসতাম।
পড়া শেষে খুনসুটি আর দুষ্টু মিষ্টি ডানপিটেমি তে ব্যস্ত থাকত অবসর সময়।
*জীবনটা তখনই সুন্দর ছিলো,যখন রাত ১২টাকে মাঝরাত বলে জানতাম।
*জীবনটা তখনই সুন্দর ছিলো, যখন ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে পাড়ার সঙ্গীরা মিলে পড়তে যেতাম।
*জীবনটা তখনই সুন্দর ছিলো,যখন রবিবারে স্কুল ছুটির জন্য আনন্দ ছিলো।
আর বিকেলে দূরদর্শন টিভি তে চারটে দশের বাংলা সিনেমা দেখার অপেক্ষায় থাকত সারাদিন।
* জীবন তখনই সুন্দর ছিলো,যখন বিকেল মানে পুতুল খেলা, খেলার মধ্যে খেলা ঘর, এক্কাদোক্কা, গোল্লাছুট,দড়ি বান্ধা,কানামাছি আর বৌচি বলে জানতাম।
*জীবন তখনই সুন্দর ছিলো যখন বয়স কম ছিলো।
*জীবন তখনই সুন্দর ছিলো,যখন কষ্ট পেলে মায়ের আঁচলের তলে গিয়ে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে পারতাম।
*জীবন তখনই সুন্দর ছিলো,যখন ভালো না থেকে ভালো আছি বলতে হত’না।

জীবন বৈচিত্র্যময়, গিরগিটির মতন।আজ ভালো কাল খারাপ এই নিয়েই জীবন।জীবনের রাস্তায় হোঁচট খেয়েও ভালো আছি বলতে পারাটাই জীবনের স্বার্থকতা।
অনেক ব্যর্থতার ব্যথায় ব্যথিত ব্যকুল হয়ে ও মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখাই জীবন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *