জীবনের খড়কুটো

জীবনের খড়কুটো / দীপঙ্কর বেরা

পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকাটাই আসল। আজকে যে গাধার মত বেঁচে আছে কাল সে সিংহের মত বাঁচতে পারবে না তার নিশ্চয়তা কেউ কি দিতে পারবে? কিংবা উল্টো। ভুলে গেলে চলবে না আমরা মানুষ।
তাই পরিস্থিতি না বুঝে যা হয় হোক ভেবে যেমন গাধার মত হওয়া যেমন ঠিক নয়, তেমনি সিংহের রূপ ধারণ করাও ঠিক না।
এখন এই পরিস্থিতি যে সবাই বুঝতে পারবে তাও ঠিক না। তাই দান ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যাওয়া বা ঝাঁপিয়ে পড়া ঠিক না। থেকে যাওয়াটাই আসল।
তবে পৃথিবীর বুকে থেকে যাওয়ার টান তৈরি করতে হবে। এই টান মানুষকে জীবন থেকে যেমন পালিয়ে যেতে দেবে না তেমনি হঠাৎ গাধার মত অথবা সিংহের মত হতেও বার বার ভাবাবে। এই ভাবনাটা জীবন। এই ভাবনাটা মানুষের পরিচয়। বেঁচে থাকার রসদ।
তাড়িয়ে আর কোথায় দেবে? এক ঠাঁই তাড়িয়ে দিলে কোন না কোন ভাবে অন্য ঠাঁই হবেই হবে। পৃথিবী সব সময় অকৃপণ। তার মানে পৃথিবীতে থাকতেই হবে। চলে যাওয়া যেখানে নিশ্চিত সেখানে সেই নিশ্চিতকে ডেকে আনা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।
মানুষের যেমন গাধা জন্ম হয় না তেমনি সিংহ জন্মও হয় না। অর্জন করতে হয়। এই অর্জন কখনই খুব সহজে সহজলভ্য হয় না। আর পৃথিবীর বুকে মানুষই যেহেতু একমাত্র মন ও মননের অধিকারী তাই মানুষ কখনই আর একজনকে গাধা অথবা সিংহ বানাতে দরাজ দিল হয় না। সেখানে অন্য মানুষের বাধা ও সহযোগিতা দুটোই উপলব্ধ হবে। পৃথিবীর বুকে বর্তমান হয়ে সেই উপলব্ধকে উপলব্ধি করে এগিয়ে যেতে হবে।
সামনে যে নিশ্চিত সিংহ বিক্রম অপেক্ষা করে আছে তা কিন্তু নয়। কিন্তু তুমি নিজে আছো সে গাধার বেশে নাকি সিংহের বেশে নাকি শুধু তুমি মানুষ হয়ে সে তো জীবন বলবে। তুমি আছো তুমি থাকবে তুমিই বর্তমান এই পৃথিবীর বুকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *