ঝরা পাতা ঝরিয়ে প্রকৃতি,
সেজে উঠেছে নূতন সাজে।
কচি পাতায় নানা ফুলের সমাহারে,
নূতন বছরে পদার্পণ করেছে।
দক্ষিণা বাতাস বয়ে নিয়ে এসেছে ,
নূতন বছরের উদ্দীপনার সুর।
মরণ রোগের ভয়ে গৃহবন্দি মানুষ,
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়নি।
শতাব্দী প্রাচীন দ্বাদশ গোপালের গোষ্ঠ মেলা,
বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
এমন দিনের কল্পনা কখন কেউ করিনি ,
যা গ্রামবাসীরা স্বপ্নেও কখনো ভাবেনি।
শত সহস্র ঢাকের গুরু গম্ভীর শব্দে ,
আকাশ বাতাস মুখরিত হবেনা।
হাজার হাজার মানুষ ঢাকের তালে পা মিলিয়ে,
বাঁধনহারা খুশিতে মেতে উঠবে না।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে আমন্ত্রিত,
বিগ্রহ আনিতে ডুলি সাজিয়ে যাবে না।
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অনুপ্রেরণা যোগানো,
মানুষ গুলি দাঁড়াবে না আমন্ত্রণ জানাতে।
এক প্রান্তে ঐতিহ্য বহনকারী বহু পুরানো সংস্কৃতিকে,
বাঁচিয়ে রাখা কাঠের পুতুল নাচ হবে না এ বছর।
অন্য প্রান্তে ছোট্ট শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ,
বাউল গানের আসর জমে উঠবে না।
চারদিন প্রতিযোগিতা মূলক পৌরানিক যাত্রাপালার,
আসরে আসবে বলে বিভিন্ন দল তৈরি হয়েছিল।
শেষের দিনে সারা রাত্রিব্যাপী বিচিত্রা অনুষ্ঠানে
মেতে ওঠা কিছুই হবেনা এ বছর আর।
মাইকে বেজে উঠবে না পুরানো দিনের গান,
আলোকসজ্জার অপরূপ শোভা দেখা যাবে না।
নানা ধরনের দোকান সারিবদ্ধভাবে সাজানো,
সবাই পুরানো নিজেদের স্থানে বসে যেতো।
ঘরের প্রয়োজনীয় দ্রব্য রকমারি সাজের দোকান ,
হরেক মাল সারে ছ টাকা ডাক শোনা যাবে না।
প্রতি বছরের ন্যায় ইলেকট্রিক নাগর দোলা এসেছে ,
তাদের ও বসতে দেয়া হয়নি ফিরে যাবে তারাও।
বহু মানুষের মিলন ক্ষেত্র সুপ্রাচীন মেলা বন্ধে,
আমার, আমাদের হৃদয়ে দাগ কেটেছে।
প্রতি বছর পৈয়লা বৈশাখে সেজে ওঠা ক্ষেত্রটি,
বহু বছরের স্মৃতি আজ ফাঁকা ভূমি এনেছে শূন্যতা।
আমি,আমরা আশাবাদী নববর্ষের নতুন প্রভাত,
ফিরিয়ে আনবে আমাদের জীবনে সচ্ছলতা।
আগামী বছর আমরা সবাইকে নিয়ে মেতে উঠবো,
আমাদের সবার প্রিয় শতাব্দী প্রাচীন গোষ্ঠ মেলায়। ।