#গোলাপি_আবীর
#শম্পা_সাহা
“শুভেন্দু যে কেনো এভাবে চলে গেলো? ও কি আমাকে একটুও ভালো বাসতো না?”
মনে মনে ভাবে সায়নী।তাই এই দুবছরের প্রেমে একবারের জন্য ও বুঝতে পারেনি যে শুভেন্দু মাতাল।
যদিও মদ খেয়ে কখনো সায়নীকে অসম্মান করেনি কিন্তু ওই মদই তো কাল হলো সায়নীর।
বিয়ের মাত্র সতেরো দিনের মাথায়, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ফেরার পথে, বাইকটা সামনাসামনি হলো একটা ট্রাকের। ব্যস! ওখানেই শেষ শুভেন্দু সায়নীর সংসার।
বাবা মা চেয়েছিল সায়নী যেন ওনাদের সঙ্গেই থাকেন। কিন্তু সায়নী রাজি হয় নি!
ও কি করে যাবে এ বাড়ি ছেড়ে। এ বাড়ির প্রতিটা কোনায় কোনায় যে শুভেন্দু ছড়িয়ে আছে। এখনো মনে হয় যেন শুভেন্দু এই ডেকে উঠবে, “সানু… “।
দোলের দিন, সায়নীরা প্ল্যান করেছিল, এবার শান্তিনিকেতন যাবে, কিন্তু! চোখের জল বাঁধ মানে না, রাস্তায় লোকের হুল্লোড়, চিৎকার! বালিশ কানে চেপে ধরে সায়নী।
হঠাৎই দরজায় শব্দ, শাশুড়ি মায়ের গলা না? বিধ্বস্ত সায়নী ধীরে ধীরে এসে ছিটকিনিটা খোলে।
শাশুড়ি মা হঠাৎই তার হাতের থালা থেকে গোলাপি আবীর নিয়ে একটা ছোট্ট টিপ এঁকে দেন, “পাগলী, যে গেছে সে তো গেছে, তার জন্য কি নিজের জীবন টা শেষ করে দিবি? এই দেখ না আমি কেমন সব ভুলে গেছি! “
গলা রুদ্ধ হয়ে আসে, সায়নী শাশুড়ি কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে, ” মা, মা গো! “
দুই প্রিয়জন হারানো নারী শুষে নিতে চায় একে অপরের যন্ত্রনা। গোলাপি আবীর গলে পড়তে থাকে দুজনের চোখের জল মাখামাখি হয়।
©®শম্পা সাহা
শম্পা সাহা