রামকিঙ্কর বাবুর চারটি সন্তান । তিনটি ছেলে আর একটি মেয়ে । মেয়েটি সবার বড় । পড়ে ক্লাস সেভেনে । বড় ছেলেটি ক্লাস ফাইভ , মেজটি ফোর আর ছোট টি ক্লাস টু । সওদাগরি অফিসে চাকরি করেন । বাড়ি মফস্বল শহরে । শহর না বলে গ্রাম বলাই ভালো । এখনো সেভাবে উন্নত হয় নি । ইলেক্ট্রিসিটি , মিউনিসিপল ওয়াটার কিছুই আসে নি । রাস্তার অবস্থা তথৈবচ । মাটির রাস্তা ।
বর্ষাকালে পঞ্চায়েত থেকে ঘেস ঢেলে দিয়ে যায় । কাদা হয়না বটে কিন্তু হাঁটাচলা করতে খুবই অসুবিধা । কাচা ড্রেন । বর্ষায় ড্রেনের ময়লা আর রাস্তার জল একাকার । যেখানে রাস্তা নিচু সেখানে জল জমে পুকুর হয়ে যায় । ময়লা জলে বাচ্চারা গামছা দিয়ে ছোট মাছ ধরে । ধরতে পারে না । খানিকটা জল কাদা মাখা মাখি করে নেয় । অধিকাংশ বাড়ি কাঁচা । বেড়ার । টালির চাল । দুটো-চারটে দালান কোঠা মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে । দোকান বাজার সবই দূরে দূরে । স্টেশন , বাস রাস্তা সে তো বহু দূর । হেঁটে গেলে কমপক্ষে আধঘন্টা সময় লাগে । মেয়েদের পৌনে একঘন্টার কম নয় ।
সকালে বাচ্চাদের স্কুল । বাসি রুটি আর ভেলি গুড় খেয়ে সব স্কুলে যায় । রামকিঙ্কর বাবু চা খেয়েই ছোটেন বাজারে । গুচ্ছের শাক ,লতাপাতা আর কুঁচো মাছ রান্না ঘরে ছুড়ে দিয়েই দৌড়ন কলতলায় । গ্রীষ্মকালে টিউবয়েলের জল যায় নেমে । তখন রাস্তার কল থেকে জল আনতে হয় । স্নান করা , কাপড় কাঁচা ও অন্যান্য প্রয়োজনের জন্য আছে একটা কুয়ো । কুয়োর জল তোলার সুবিধার জন্য প্লাম্বার কে দিয়ে পাইপের সাথে একটা কল লাগিয়ে নিয়ে ছেন । এখন আর জলের কষ্ট নেই । বর্ষায় কুয়ো ভরে থাকে । কল পাম্প করলেই জল ।
স্নান করে এসেই চিৎকার জুড়ে দেন । গিন্নি , ভাত দাও । দেরি হয়ে গেল আজকে আবার ।
রোজ একই কথা । এইটুকু সময়ের মধ্যে কী ভাবে রান্না হবে সেটা জানার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই । বলেই খালাস । যেভাবে পার করে দাও । এইসব মায়েরা গিন্নি তো না , মা দশভুজা । পরিপাটি করে সাজিয়ে থালা এনে নামিয়ে রাখেন মাটিতে । তার আগে আসন পাতা , গ্লাসে জল রাখা তো আছে ।
খেতে খেতেই বলবে ডালে নুন কম । শাকে আর একটু মিষ্টি হতো । লঙ্কায় ঝাল নেই । মাছের ঝোলে আঁশটে গন্ধ ।
মন্তব্যের অভাব নেই । করলেই হল ।
রান্না ঘর থেকেও আসে উত্তর । যা পেরেছি দিয়েছি , পছন্দ না হয় নিজে রেঁধে খাও ।
তাই রাঁধবো । মনে কি কর রাঁধতে জানিনে ।
সে মুরোদ জানা আছে । বলি ,আজ পর্যন্ত কোনো দিন এক কাপ চা করে খেয়েছ ? জানো , ডালে কী ফোড়ন দিতে হয় ? শুক্তোয় কী মশলা লাগে ? এসেছে বড় রান্না করতে । একদিন বাপের বাড়ি গিয়ে থাকলে বুঝবে ঠেলা । কবেই বুঝিয়ে দিতাম । শুধু বাচ্চাগুলোর মুখ চেয়ে পারি না । কী ভালো সব ছেলে মেয়ে । যা দেবে মুখ বুজে তাই খাবে । কোনো কথা নেই । ছোটোটা তো আবার খোঁজ নেবে , মা তুমি খেয়েছ ?
তোমার জন্য মাছ নেই ? সব যে আমাদের দিয়ে দিলে রাত্রে তুমি কী খাবে , মা ? চোখ ফেটে জল এসে যায় । আর ইনাকে দেখ । শুধুই খুঁত ধরা । এটা হয় নি কেন ? ওটা হয় নি কেন ? হাড় মাস জ্বালিয়ে খেলে গা । বিয়ের পর থেকে একটা দিনের জন্য শান্তি দিলে না । দূর দূর , এর নাম সংসার ।
ছেলেগুলো সারা দুপুর টো টো করে রোদ্দুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে । সন্ধ্যে হলেই ঢলে পড়ছে ঘুমে । রাত্রে খেতে বসে স্বামীকে বললেন সে কথা ।
রামকিঙ্কর বললেন , একটা মাস্টার রাখতে হবে । চারজনকেই দেখাবে । এখনকার যা মাস্টার নজর শুধু টাকার দিকে । ছেলে ছোকড়া মাস্টার দিয়ে চলবে না । তার ওপর মেয়ে এখন বড় হয়েছে । চোখে চোখে না রাখলেই বিপদ ।
রোব্বারদিন সকালে বাজার থেকে ফেরার পথে সঙ্গে করে নিয়ে এলেন এক বুড়ো মত মানুষকে ।বাড়িতে ঢুকেই হাঁকডাক । ভূতির মা , ও ভূতির মা । দেখ কাকে সঙ্গে করে এনেছি । ইনি আমাদের কনকের দাদু । সতিকান্ত ঘোষাল । আগেকার দিনের আইয়ে পাশ । খুব পন্ডিত মানুষ । যেমন ইংরেজিতে তেমন অংকে । অনেক বলে কয়ে রাজি করিয়েছি । কাল থেকেই চারজনকে পড়াবেন । সন্ধ্যেবেলায় ।
এবার ডাক দিলেন ছেলে মেয়েদের । এই যে তোমাদের নতুন গৃহশিক্ষক । মাস্টার মশাই ।প্রণাম কর । কালকে থেকে তোমাদের পড়াবেন । উনাকে বলে রেখেছি বেত নিয়ে আসতে । বেচাল দেখলেই বেতের বাড়ি ।
রান্না ঘর থেকে মা ডাকলেন । চা হয়ে গেছে । ভূতি , মাস্টারমশাইকে চা টা দাও ।
পরের দিন বিকেল থেকে শুরু হয়ে গেল গৃহশিক্ষকের কাছে পড়া । চারটে থেকে ছ’টা । দু ঘন্টা পড়াতেন । কোনো কোনো দিন সাড়ে ছ’টা এমন কি সাতটা ও বেজে যেত । হুঁশ থাকতো না মাস্টার মশাইয়ের । মাঝে একবার ভুতির ডাক পড়তো চা বিস্কুট নিয়ে আসার জন্য । এমনিতে ভারী ভালো মানুষ । পড়াতেন ভালো । কিন্তু রেগে গেলে সাংঘাতিক । বেত নিয়ে বসতেন । মারতেন না । শুধুই ভয় দেখানো ।
সে ঠিক আছে । কিন্তু বিকেল বেলা হলো খেলার সময় । তখন কী আর পড়তে ভালো লাগে ? বিশেষ করে এই সব বাচ্চাদের । লম্বা বারান্দা । একদিকে রান্না ঘর । পাশে আর একটা ঘর । এই দুটো ঘরের পেছন দিকে একটা ছোট মত ঘর আছে । আগে ঠাকুমা থাকতো ওই ঘরে । এখন ভুতি আর ছোট ভাই দীপু ওই ঘরে থাকে । শোবার ঘরটার দরজার মাথার ওপরে একটা পেন্ডুলাময়ালা ঘড়ি ।
যেই ঢং করে সাড়ে চারটে বাজতো মেজটা বড়টাকে বলতো মাঠে বল নেমে পড়েছে । আর একটু পরেই শুরু হবে খেলা ।
এই কী বলছিস রে ? মাস্টার মশাই বেত উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করতেন ।
উত্তর একদম ঠোঁটের ডগায় । বলতো এই ট্রান্সলেশনটা কী হবে তাই দাদাকে জিজ্ঞেস করছিলাম ।
কোনটা ?
ছেলেরা মাঠে বল খেলিতেছে ।
মজার ব্যাপার হলো , প্রতিদিনই দশটা করে ট্রান্সলেশন দিতেন আর ঠিক একটা খেলার কথা থাকতো । যেমন আজকে আছে ছেলেরা মাঠে বল খেলিতেছে ।
তা তোর দাদা কী বলল ?
স্যার , মাঠ ইংরেজি কী ?
ফিল্ড ও বলতে পারিস আবার প্লেগ্রাউন্ড ও বলতে পারিস ।
একটু ভেবে আমতা আমতা করে বলল , বয়েস প্লেগ্রাউন্ড বল ।
বড় বলে উঠলো , না স্যার , হয়নি । আমি বলবো ?
বল দেখি ।
বয়েস প্লেয়িং প্লেগ্রাউন্ড ।
বলটা কোথায় গেল ?
ও , বয়েস প্লেয়িং প্লেগ্রাউন্ড বল ।
তোমার মুনডু । ভুতি ,তুই পারবি ?
খাতার থেকে মুখ তুলে ভুতি বলল , বয়েস আর প্লে বল প্লেগ্রাউন্ড ।
বুঝলাম । এত করে কালকে শিখালাম আর আজকেই ভুলে গেলি ।
এটা কোন টেন্স ? টেন্স মনে আছে তো ? সেটাও ভুলে গেছিস ? খাতা রাখ । ইংরেজি গ্রামার বই টা বের কর । প্রেসেন্ট কন্টিনিউয়াস টেনস্টা পড় । ভালো করে পড়ে রাখবি , কালকে ধরবো ।
এই ভাবেই কেটে গেল একটা মাস । একদিন বিকেলে স্যার এসে দেখেন ভাইয়ে ভাইয়ে খুব ঝগড়া চলছে । কী ব্যাপার ? জানতে চাইলেন ।
ছোটটা দীপু বলল , মাত্তামশাই , মেদ্দা স্কুল থেকে একটা পেন চুরি করে এনেছে ।
মিথ্যে কথা বলবি না । আমি চুরি করেছি ? তুই দেখেছিস ? না স্যার, আমি চুরি করি নি ।
সঙ্গে সঙ্গে বড়ভাই বলল, তাহলে পেন টা এল কথা থেকে ?
আমাকে দিয়েছে ।
কে দিয়েছে ?
আমার বন্ধু ।
কেন , তোকে হঠাৎ দিতে গেল কেন ?
দিয়েছে ।
ভুতি বলল, তুই সত্যি কথাটা বললেই তো পারিস ।
সবাই চুপ কর । সাইলেন্স । মাস্টার মশাই বললেন , আমি জানি তুমি চুরি কর নি । কারন , তুমি জান যে চুরি করা মহা পাপ । পরের দ্রব্য না বলিয়া লওয়াকে চুরি বলে । এখন বলো ঘটনাটা কী ?
আমার পেনের কালি ফুরিয়ে গেছিল । স্যার লিখতে দিয়েছিলেন । আমি আমার বন্ধু অতনুর কাছে পেন চাইতেই ও দিয়ে দিল ।
তারপর ?
ছুটির সময় ও কে আর দেখতে পাই নি ।
বড় ভাই লাফিয়ে উঠলো , মিথ্যে কথা । ডাহা মিথ্যে কথা । ছুটির সময় আমি দেখেছি ভাই আর অতনু এক সাথে আসছিল ।
মেজ ছেলেটার নাম নীলু ।
স্যার বললেন : দেখ নীলু , চুরি করা যেমন অন্যায় , মিথ্যে কথা বলা ততোধিক অন্যায় । তুমি দুটো অন্যায় করেছ ।
সবার চাপে ভ্যা করে কেঁদে ফেলল নীলু । পরে স্বীকার করেছিল যে টিফিন পিরিয়ডে যখন অতনু জল খেতে গেছিল ও তখন ওর ব্যাগ খুলে পেন টা নিয়ে ছিল । অতনুর ব্যাগে অনেকগুলো পেন থাকে তাই ও বুঝতে পারে নি । সেদিনটায় আর পড়া হলো না । পুরো দুঘন্টা ধরে স্যার নীতি শিক্ষা দিলেন ।
দেখতে দেখতে হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা হয়ে গেল । ফল বেরতে দেখা গেল মোটামুটি চার ভাই বোনই উন্নতি করেছে । স্যার বলেছেন আরো খাটতে হবে । খুশি হয়ে স্যার সবাইকে লজেন্স খাইয়েছেন । মাসের সাত তারিখের মধ্যে মাস্টার মশাইকে তার মাইনে ১৫0 টাকা দিয়ে দেয় রামকিঙ্কর । গিন্নীর কাছে রেখে যায় । প্রতি মাসেই একটা সাদা খামে পুড়ে টাকাটা ওদের মা পাঠিয়ে দেয় ভুতির হাত দিয়ে ।
প্রতিবার ই ভুতি বলে , মাস্টার মশাই , মা বলে দিয়েছে খাম খুলে টাকা গুলো দেখে নিতে ।
এর উত্তরে স্যার বলবেন , ঠিক আছে , যাওয়ার আগে দেখে নেব ।
এরপর শুরু হয়ে যায় পড়াশুনো । সেদিন বাড়ি যাওয়ার আগে টাকা গুনতে গিয়ে মাস্টার মশাই দেখেন একটা ৫০ টাকার নোট কম । থাকার কথা তিনটে কিন্তু আছে দুটো । সেকথা বলতেই হৈ হৈ পড়ে গেল । সবাই লেগে গেল খুঁজতে । সমস্ত খাতা বই পৃষ্ঠা ধরে ধরে খোঁজা চলল । একে উঠিয়ে ওকে হাঁটিয়ে না না ভাবে খোঁজ চলল ৫০ টাকার ।
কিন্তু কোথাও পাওয়া গেল না । ওদিকে মা কাঠের আলমারির মাথায় যেখানে ভাঁজ করা খবরের কাগজের নিচে খামটা রাখে সেখানে ভালো করে দেখলো । আলমারির মাথায় যা যা আছে সব কিছু নামাতে গিয়ে তাদের বিয়ের ফটো ফ্রেমের কাঁচটাই গেল ভেঙে । সারা ঘর ময় টুকরো টুকরো কাঁচ । এখন যদি বাচ্চারা ঘরে ঢুকে পড়ে তাহলে পায়ে কাঁচ ফুটে রক্তারক্তি কান্ড হয়ে যাবে । সে তো যাবে কিন্তু টাকাটা গেল কোথায় ?
হঠাৎ বড়ভাই পিলু বলে উঠলো , এই নীলু , তুই নিস্ নি তো ? তোর তো আবার চুরি করার স্বভাব আছে ।
ব্যাস , লেগে গেল ঝগড়া । ঝগড়া থামাতে বেত তুললেন স্যার । কেন জানিনা তারও মনে হল এটা নীলুর কাজ । অনেক করে বোঝানো সত্বেও নীলু যখন একই কথা বলে যাচ্ছে যে সে নেয় নি , স্যার আর মাথা ঠিক রাখতে পারলেন না । সপা সপ আছড়ে পড়তে লাগলো বেত নীলুর পিঠে । নীলুর পরিত্রাহি চিৎকার । মাটিতে গড়াগড়ি । ছোট্ট মানুষ । হাত ,পা , পিঠে কালসিটের দাগ । চামড়া ফেটে রক্ত বেরিয়ে এল । নীলুকে প্রায় অচৈতন্য করে থামলেন মাস্টার মশাই । নীলুকে জামা প্যান্ট খুলিয়েও পাওয়া যায় নি টাকা । রাগে গড়গড় করতে করতে বাড়ি চলে গেলেন গৃহশিক্ষক সতিকান্ত ঘোষাল ।
রাত্রি তখন ন’টা কি সাড়ে ন’টা । বাচ্চারা খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে । নীলুর জ্বর এসেছে । নীলুর মা কাঁদছেন আর নীলুর মাথায় জল পটি দিয়ে চলেছেন ।
জ্বরের ঘরে নীলু বিড়বিড় করে বলছে , মা , আমি চুরি করি নি । আমি চুরি করি নি মা ।
চোখের জল বাঁধ মানছে না । আমি জানি বাবা , তুমি নাওনি । তুমি আমার সে রকম ছেলে নও ।
থার্মোমিটারে দেখলেন জ্বর ১০৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে । নীলুর বাবাকে বললেন এক্ষুনি ডাক্তার ডেকে আনতে । কিন্তু এখানে এত রাত্রে ডাক্তার কোথায় পাবে ? একজনই আছে শশাঙ্ক ডাক্তার । বেশি টাকা দিলে বাড়িতে আসতে পারে । সাইকেলটা নিয়ে দরজাটা খুলতেই দেখেন গৃহশিক্ষক সতিকান্ত বাবু দাঁড়িয়ে ।
কি ব্যাপার আপনি ? এখন ? বিস্ময়ের ঘোর কাটে না রামকিঙ্করের ।
হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন মাস্টার মশাই । একদম বাচ্চা ছেলের মত । অনেক কষ্টে কান্না থামিয়ে বললেন , আমাকে ক্ষমা করে দিন ,রামকিঙ্কর বাবু । আমি মহা পাপ করেছি । আমি পাপী ।
কিন্তু কী করেছেন সে টা তো আগে বলবেন ?
টাকাটা যে আমার বুক পকেটে রেখে ছিলাম সেটাই ভুলে গেছিলাম । বাড়িতে গিয়ে জামা খুলতেই টাকাটা মাটিতে পড়ে । আবার জামাটা গায়ে দিয়ে আমি এই রাত্রি বেলায় ছুটে এসেছি । সে কথা বলতে । আমি মা জননীর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইব । আমাকে মার্জনা করে দিন ।
আমি নীলুর কাছেও ক্ষমা চাইব । আমাকে ক্ষমা না করলে আমি শান্তি পাবো না ।
দুজনের কেউই খেয়াল করে নি কখন নীলু পিলুর মা এসে দাঁড়িয়েছে দরজার কাছে । সব শুনেছেন ।
স্বামীকে বললেন , উনাকে বলে দাও কাল থেকে আর আসতে হবে না । আমার আর গৃহ শিক্ষকের প্রয়োজন নেই ।