গল্প – বন্য মাধব

রাত-অভিযান
গল্প   -   বন্য মাধব


সবে হাতটা ঠিক জায়গায় রেখেছি, হুম, একচান্সেই, গতরাতের মত হাতড়াই নি, কোথায় আরাম খাবি আর কোঁতকোঁত করে উঠবি তা নয়, শালী, ফচাৎ করে মুখে টর্চ মেরে বসলি, কী দেখবি দ্যাখ শালী, মুখে তো গামছা বেঁধে রেখেছি, ভিমরি খাবি তো, ভাবতে না ভাবতেই তাই হলো, কিন্তু হবার আগে এত বিকট একটা আওয়াজ বেরলো যে সসম্মানে সটকে পড়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকলো না, শালা কার মুখ দেখে যে সন্ধ্যে হয়েছিলো!

কত ঢঙ শালীর, ক’দিন ধরেই তক্কে তক্কে ছিলুম, কাল একটু ভয় ভয় করলেও আজ কেল্লা ফতে করেই ছাড়বো বলেই মন ঠিক করে এসেছিলাম, আরে ঐ তো তোর রূপের ছিরি, কিন্তু দু’রাতেই বুঝেছি মালটা তুই হেব্বি, মাখনের মত শরীর, চোখে হাতে মেখেছি যখন, তোকে খেয়েই ছাড়বো, আজ না হয় বাধ্য হয়েই পশ্চাদোপসরণ করলাম, কিন্তু কাল হোক পরশু হোক তোকে আমি খাবোই, আমি কী মাল চিনিস না, চেনাবো রে শালী, মুখ থেকে একটা আক্রোশের শ্বাস বেরোলো ফস করে, তোকে আমি দেখে নেবো রে শালী।

একটু নিরাপদ জায়গায় এসে দাঁড়ালাম, আওয়াজ ভেসে আসছে, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে! কত সাহস শালাদের, দলবেঁধে সব টর্চ মেরে খুঁজতে লেগেছে, শুধু হাতে পেলে একবার হয়, ছিঁড়েকুঁড়ে খাবে, সবচেয়ে লিকপিকেদের তড়পানির জোর সবচেয়ে বেশি, হুম, এখানে থাকা আর নিরাপদ হবে না, হনহন করে পা বাড়ালাম, অন্ধকারে মিশে গেলাম তড়িঘড়ি।
কিন্তু ধরা পড়ে গেলাম, মেকলি দাঁড়িয়ে ওদের গেটে, দাঁড়াতে বললো, ওকে আমার বরাবর খুব ভয় ভয় লাগে, আজকাল আরও একটু বেশি যেন, আমার এসব রাত-অভিযান ও একটু আধটু জানে, বারণও করে বারবার, চোরা কি শোনে ধর্মের কাহিনী? সটান এসে হাতটা ধরে হিড়হিড় করে ওদের ঘরে নিয়ে গেল, দরজা বন্ধ হলো, সশব্দে ডানগালে যেটা পড়লো মনে হলো তার দাগ জন্মের মতো মনে গেঁথে গেল আর যেটা পেলাম …. উঁহু বলবো না কাউকে, মেকলির দিব্যি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *