এখন খুনের খবর শুনলে চমকে যাই না আর,
নিজের অজান্তে মুখ থেকে চুক্ চুক্ শব্দ বের হয় না।
খুনের সঙ্গে কেমন মাখামাখি হয়ে গেছে।
প্রতিনিয়ত খুন হচ্ছে কিনা !
ছেলে বাবা কে, বাবা ছেলে-মেয়ে কে, বন্ধু বন্ধুকে,
স্বামী স্ত্রী কে , স্ত্রী স্বামীকে,শিক্ষক ছাত্রীকে খুন করছে।
কেউ আবার সুপারী দিচ্ছে।
সকালে চায়ের কাপে বিস্কুট না থাকলে যেমন বিস্বাদ
লাগে, তেমনি সকালে খবরের কাগজ খুলে খুনের খবর
না থাকলে ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
যেমনটি লাগতো ক্লাস টেনে ,স্মিতা না থাকলে সব্বাই
থাকলে ও সারা ক্লাস ফাঁকা মনে হতো।
ইংরাজীর স্যার, আনোয়ার সাহেব , জিজ্ঞাসা করতেন,
বলতো ‘বুল ইন এ চায়না শপ’ কী?
বলতাম ‘চীনাদের সাজানো দোকানে ষাঁড়ের প্রবেশ।’
তখন মানে বুঝিনি,এখন বুঝি — সব খুন হয়ে যাচ্ছ
একে একে।
যার খাঁকি উর্দি দেখে ভয় পেতাম সে কেমন ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে,তাকিয়ে থাকে তর্জনীর দিকে।
যারা বুদ্ধিজীবী বুদ্ধিকে কবেই খুন করেছে।
মেপেজুপে পা ফেলে যদি পা পিছলে যায়।
প্রসাদ বড় মিষ্টি।
প্রতিষ্ঠান গুলো খুন হয়ে যাচ্ছে একে একে ।
তুমি আমি আমরা সবাই ভার্চুয়ালি খুন হয়ে গেছি,
তফাৎ টা নিঃশ্বাসে। যে সত্যি খুন হয়েছে সে নিঃশ্বাস
নেয় না , আমরা নিই আস্তে আস্তে,ভয়ে ভয়ে।
এখন খুনের খবর শুনলে চমকে যাই না আর।
রাজনৈতিক খুন হলে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প ফেঁদে
সম্পর্ক অস্বীকার করি আর ত্রিকোণ প্রেমের জন্য
খুন হলে রাজনীতি করি।
খুন তো খুন ই ।