সারাদিন খোঁজা-খুঁজির পর বসে পড়ি
পথের খোঁজে,পথের ধারে ;বট-বৃক্ষের তলে
শুনেছি জগতের সব জায়গায় আছে হীরে
শুধু চিনে নিতে হয় তুলে এই অমর প্রাণ,
নদীর গভীরে ঝিনুকের পেটে শ্যাওলা হতে।
মনে পড়ে ঐ সাগর পাড়ে শুনেছি অনবরতঃ
জলের গান,স্রোতের তারুণ্য ;বাতাসের ঐক্যতান।
বিঁধেছে বুকের ভেতরে সুক্ষ কারুকাজ শিল্পীর,
সেও হতে পারতো এক হৃদয়হরণ কারিগর—
সুরের মোহজালে যার অনন্ত নাচে ভূমধ্যসাগরে,
বাঁশরির বাঁশিতে সরগম করেনি বলে প্রকৃতির ;
তবু রসে ছেদ পড়েনি একটুও —-।
সেদিন হাঁটতে হাঁটতে সবুজ অরণ্যের মাঝে দেখি,
এক আঁকিয়ে শাদা ক্যানভাসে করছে আঁকিবুকি ;
শিল্পের সব রং তার মাঝে আছে একদম।
নীলের জায়গায় নীল, লাল কিংবা কালোর মাঝে কালো
নির্ভুল আলো করেছে সব মানুষের ভেতর এবং বাহির।
মূলতঃ সন্মোহনের কারুকলায় বিজয়ী এক সংসারী
ইট,পাথর, মাটি দিয়ে গড়েছে এক রুদ্রনীল প্রকৃতি আর,
সে ছিলো নরোম মাটির দলা যার গহীনে অঙ্কুরিত হীরে।
প্রদীপ ভট্টাচার্য