#কোন্দলপ্রিয়
#শম্পা_সাহা
মানুষ বড় কাজিয়া কোন্দলপ্রিয় প্রজাতি।প্রজাতি বললে আবার রাগবেন না যেন! আমরা প্রাণীই,সে যতই ঐতিহ্য টৈতিহ্যর বুলি কপচান! আমরা প্রাণীদের মধ্যে একটু উন্নত, হোমো সেপিয়েন্স আমাদের নাম।এর বেশি কিছু না।
আপনি যদি ভেবে থাকেন মানুষ হয়ে আপনি মাথা কিনে নিয়েছেন, ভুল ভাবছেন।আপনার মত দল বেঁধে সামাজিক জীবন যাপন ওই সামান্য উই পোকা, বোলতা বা মৌমাছিরাও করে।কিন্তু তারা ঝগড়া করে না, একে অপরকে লোভে পরে হত্যা করে না অকারণে যেমন আমরা করি।
যতই ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের গাত্র ব্যথা হোক লোকের উন্নতিতে গাত্রদাহ মাস্ট।আর ভাগাভাগিতে? ওরে বাবা শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই সেখানে পি এইচ ডি।
আমরা প্রথমে দেশের বিরুদ্ধে লড়ি।এই যেমন ভারত পাকিস্তানের লড়াই, আমেরিকা ইরাকের ওপর বোম ফেলে, এইসব করতে করতে বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত আমরা করে ফেলেছি।ভাবখানা এমন যেন ওরা বিদেশি তাই শত্রু, ঘরের লোকদের মধ্যে গলায় গলায় ভাব!
তাহলে আর প্রাদেশিকতা শব্দটাই আসতো না? আমরা সীমান্তে লড়ছি বিদেশের বিরুদ্ধে আবার দেশের মধ্যে এক রাজ্য লড়ছি অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে।সেখানে লড়াইটা, ও বিহারী, ও বাঙালি, ও অসমিয়া,ও মারাঠি!
তাহলে শত্রু ভাবাপন্ন আমরা সীমান্তের বাইরের লোকেদের সম্পর্কে শুধু নই দেশের ভেতরেও শত্রু খুঁজে পাচ্ছি!
আচ্ছা তাহলে রাজ্যের মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা নেই? ও বাবা ওখানেও আছে! ও হিন্দু, ও মুসলমান, ও খৃষ্টান,ও শিখ,ও জৈন।সেই ভিত্তিতে বিভাজন, লড়াই, দাঙ্গা!
তাহলে কি এখানেই শেষ? তাহলে আর ও ব্রাম্ভন ও কায়স্থ,ও উঁচু জাত,ও নিচু জাত কিসের? তাতে অনার কিলিং? হায় রে? কিলিং তাও অনার?
আর রাজনৈতিক তরজা,তা নিয়ে রং অনুযায়ী মার ধোর,খুন,জখম। এক দেশ,এক রাজ্য,এক ধর্ম হয়েও রক্ষা নেই।সেখানে আবার রাজনৈতিক রং দেখে আমরা লড়ছি একে অপরের বিরুদ্ধে!
এরপর লড়াই ভাইয়ে ভাইয়ে,ভাই বোনে,বোনে বোনে টাকার জন্য, জমির জন্য,সম্পত্তির জন্য।খুন খারাপি,জখম,ধর্ষণ কিছুই বাদ নেই।
আর শেষে লড়ছি নারী পুরুষের মধ্যে! নারী বড় না পুরুষ? নারী ভালো না পুরুষ?
আমরা শুধু লড়ছি, লড়েই যাচ্ছি আর ভাঙছি! পৃথিবী ভাঙছি দেশের নামে, দেশ ভাঙছি রাজ্যের নামে,রাজ্য ভাঙছি ভাষার নামে, সংসার ভাঙছি অধিকারের নামে!
এই ভাঙার খেলায় সামিল।আমরা সবাই, সব্বাই,প্রত্যেকে! কেউ জানে না এর শেষ কোথায় তবুও লড়েই যাচ্ছি!জানি না এতে কার ভালো হচ্ছে, তবে মানবিকতার যে ভালো হচ্ছেনা তা হলফ করে বলতে পারি!
©®
শম্পা সাহা