কৃষ্ণবৈরাগী – সঞ্জীব সেন

জ্বেলে রেখেছি অলোকসামান্য  আলোর বিভা, প্রণয়ের মত নবীন কোমল

চুম্বনের মত এক  অপরূপ সংকেত,জোৎস্নার মত আলোভাষা,

যেমন প্রণয় সন্ধ্যার পর  মধ্যরাত,, সুখ অসুখের বিজন ঘর

যেন শষ্যবিহীন ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণ=

তেমনি মৃত জোৎস্নার শরীরে যখন মেশে কোমলগান্ধার

দূর হতে ভেসে আসে বাউলের আখরায়  দোতারার সুর,

আমি তখন প্রস্তুত হই নিজের নগ্ন শরীর মিশিয়ে দিতে তরল অন্ধকারে

মনে পরে কৃষ্নবৈরাগী শিখিয়েছিল প্রেমের প্রথম পাঠ,

মেধাবী ছাত্রের মত শুনেছিলাম,

একদিন বলেছিলেন, বসন্ত পূর্ণিমায়  গাঢ় হয় চাঁদের ভঙ্গিমা ,

মোহিনী আলোয়  ফুটে ওঠে বকুল তলা , মনে পরে  প্রেয়সীর মুখ,

মনে হয় হেঁটে যাই রাতের

গভীরে অকারণ,

আর একদিন বলেছিলেন মেঘপুঞ্জ যেখানে ঢেকে রাখে আকাশের

লাজহীন নগ্নতা

যেখানে কুমারী তৃণের দল অনাবৃতা ধরিত্রীর বুকে পরায় বসন,

তেমন ভাবেই কুমারি তার কাম চঞ্চলতাকে বেঁধে রাখে

তুমিয়ো কি সেভাবেই ঢেকে রাখো তার রূপের সমস্ত প্রাণমন,

ছড়িয়ে পরেছে শেষ নিশীথের  মত ঘুম,

তখনই দেখা  দুঃ স্বপ্নের   ভিতর,কৃষ্ণবৈরাগীর  সাথে ,

সৌমকান্তির মুখে গৌরবর্ণ শরীরে দোতারাটাও ধরে  আছে সেভাবেই

কতদিন শুনিনি গো তোমার গান,

‘মিলন হবে কতদিনে

আমার মনের মানুষের সনে,

বুঝেও বুঝিনি,   বুঝলাম তাকে নিয়ে গেল , যেদিন

বাহকেরা  লব্ধজ্ঞান  বিনম্র, সৌম্য,

চলেছে তারা মৃদুপায়ে  বাতাসে পা ফেলে

যেন সব দৃষ্টি সব  দৃশ্য লুঠ করে রেখে গেছে এক আশ্চর্য আঁধার

আঁধার নয় আঁধারে এক জ্যোতি

আমি তখন  রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এ দাঁড়িয়ে

মনে হল কেউ যেন শিশুটার   খেলনা কেড়ে নিয়েছে  

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *