কবি ভারবি -সুদীপ ঘোষাল

অনেকে বলে থাকেন ভারবির প্রতিবাদকারী ভাব প্রদীপ্ত ছিল। কালি ঘাটে আছে উপমা, বিরক্তি  আর গুনের সমন্বয়। মহাকবি কালিদাস কবুল করেন, সংস্কৃত সাহিত্য, সমৃদ্ধি যুগের শুরু বলে  মনে করেন। 


সংস্কৃত সাহিত্যে কালিদাসের পর মহাকাব্য রচয়িতা হিসেবে যার নাম করতে হয় তিনি নিঃসন্দেহে ভারবি। 
কথিত আছে কোন একদিন স্থানীয় রাজা বিষ্ণুবর্ধন এর সঙ্গে  এগিয়ে যায়। পরে  ক্ষুধা নিবারণের অর্থে মাংস ভক্ষণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।সেই মাংস ভক্ষণ জনিত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তিনি তীর্থযাত্রা করেন।


তীর্থ পরিক্রমা পথে দুর্বিনীত নামে একজন রাজকুমারের সঙ্গে তার দেখা হয়।
ভারবির কবিত্ব শক্তির পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ রাজকুমার তাকে নিজের শিবিরে নিয়ে যান তারপর একসময় রাজা বিষ্ণুবর্ধন  কবি কে ডেকে রাজস্থান পরবর্তীকালে অনেক জাতীয় লেখা রচনা করেছিলেন।


776 লেখা একটি দক্ষিণ ভারতীয় দানপত্র তার প্রমান।
পণ্ডিতেরা পণ্ডিতদের বিচারে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে ভারবির আবির্ভাব তাদেরও মনে করার কারণ। 634 খ্রিস্টাব্দে লেখা দ্বিতীয় পুলকেশী ও তার বংশের স্তুতিমূলক শিলালিপি রচয়িতা নিজেকে কালিদাস কীর্তিমান বলে দাবি করেছেন।


শিলালিপিটি উৎকীর্ণ হয়েছিল 634 খ্রিস্টাব্দে অবন্তী সুন্দরীর কথা যে রাজা বিষ্ণুবর্ধন এ  আছে।তিনি যে দ্বিতীয় পুলকেশীর ভাই সেকথা শিলালিপিতে উল্লিখিত পাঠের ভিত্তিতে ঐতিহাসিকদের দ্বারা প্রমাণিত। দ্বিতীয় পুলকেশীর রাজত্বকালে 600-650 খ্রিস্টাব্দে লেখা থেকে উদ্ধৃতি গ্রহণ করা হয়েছে। 776 সালে লেখা দক্ষিণ ভারতীয় পত্রকাব্য এবং গুণী হিসেবে রাজা দূর্ববিনিতের নাম পাওয়া যায়।


ভারবি বানভট্টের পূর্ববর্তী এবং সপ্তম শতকের প্রথমার্ধে কবিতায় যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছিলেন। তার ওপর অনেক প্রমান আছে  মহাকাব্যটি কাব্যসৌন্দর্য অতিক্রম করার উদ্দেশ্য নিয়ে শিশুপাল বধ কাব্য রচনা করেছিলেন।কবিকে অনেক ক্ষেত্রেই অনুকরণ করেছেন তিনি।এসব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে 550 খ্রিস্টাব্দে সন্নিহিত সময়কে চিহ্নিত করা হয়। অধিকাংশ  বিষয়ে একমত পোষণ করেন কিংবদন্তি কবিগণ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *