গল্পের গরু যদি গাছে চাপে
তবে সে সেখানেই থাক,
চলন্তিকা বেয়ে শব্দের সাথী হয়ে
নেবো কেন অকারণ চাপ ?
হ্রস্ব দীর্ঘ আর মূর্ধা তালুর ভিড়ে
ভাষনেতে ভেসে যায় শব্দ,
মূর্ধাতে ঠেকে ঠেকে দাঁতের গোড়ায় লেগে
ন-কার স-কার সব জব্দ।
নদী তাই নদি হল তীরে তিরে একাকার
মনে মণে মিশে যায় নির্ঘাত,
শব্দের মায়াজাল কবি হয় বেসামাল
অর্থে অর্থে কত সংঘাত।
গদ্য কবিতা চাই সেটাই তো আধুনিক
অন্তমিলের কি দরকার ?
কাজ নেই ছন্দেতে মাত্রারা উদাসীন
কি হবে কাব্য সুষমার ?
লাচাড়ী পয়ার গেছে মোটক আর মালিনী,
মন্দাক্রান্তাও অসহায়,
শুধু কথা নেড়ে নেড়ে শব্দের স্তুপ গড়ে
গদ্য না পদ্য চেনা দায়।
প্রচারেই বাঁচামরা গর্ধব হয় ঘোড়া
বিতর্ক দিতে হয় উসকে,
তুমি কবি নও আর না থাকিলে ফলোয়ার,
বিখ্যাত হলে দেবে দোষ কে ?
যতই লেখো না কবি ব্যর্থ তোমার সবই
পাশে নেই খ্যাতি আর বিপণন,
নাম হলে মস্ত যাই লেখো দোস্তো
জুটবে খ্যাতির তালি অগণন।
তাই ছেড়ে ছন্দ খাতা করি বন্ধ
দরকার নেই আর ওসবের,
রেখে মাথা বালিশে চোখ বোজে আলিশে
মাদকতা স্বপ্নের আসবের।
এই বেশ আছি ভায়া কবির কাব্যমায়া
মিশে গেছে স্বপ্নের সঙ্গে,
যুগ আজ ডিজিটাল শূন্য একের চাল
যন্ত্রের যান্ত্রিক রঙ্গে।