শৈশবের দিনগুলি পেরিয়ে গেছে ,
কিছু বুঝে ওঠার আগেই।
শৈশবের কদলী ভেলায় ভাসতে ভাসতে
কৈশোর যে কখন পেরিয়ে গেছে।
জীবনের মধ্যাহ্ন বেলায় এসে পৌঁছেছি,
দাঁড়িয়ে রয়েছি যৌবনের আঙ্গিনায়।
আপন মানুষ গুলি কে সুখ দেবার তারনাই ,
সমস্যার সমাধানে অতিবাহিত হচ্ছে জীবন।
যৌবনের পথ অতিক্রম করে একদিন ,
বার্ধক্যের জীর্ণতা আমাকে গ্রাস করবে।
সংসারকে সুখ দিতে আসবে অক্ষমতা ,
আস্তে আস্তে দূর হবো সবাইয়ের থেকে।
যখন সবার দুঃখের কারণ হবো চিরতরে,
আর দুঃখ থেকে মানুষ দূরেই থাকে চিরদিন।
সবার থেকে দূর হতে হতে নিজের অজান্তেই,
একদিন বহুদূরে পৌঁছে যাবো ,অজানার দেশে।
আমার পূর্বপুরুষেরা সময়ের স্রোতে,
একই ভাবে কত দূরে হারিয়ে গেছে।
শুধু আমার অস্থি আর রক্ত বিন্দুতে ,
তাঁদের অস্তিত্ব টুকু রয়ে গেছে।
বাঁদর রূপে ডালে ডালে কত লাফা লাফি,
হাতি রূপে কত খাদ্য ভোগ করেছি।
এখনো পশুত্য ভাব ফুটে উঠছে কর্মে,
সাপের ন্যায় শীত ঘুমে কাটবে জীবন।
সবই জানি আমার প্রকৃত অবস্থানটি কি,
চিরদিন এই ভুবন মাঝে রবনা চিরস্থায়ী।
শুধু বিশ্বাসের সাথে মেনে নিতে পারি না,
প্রকৃতির চরম বাস্তব সত্যটা কে।
আর কতদিন জীবনটা কে ভ্রান্ত ধারণায়,
ছোট্ট ঘরে বন্দী করে রাখবো নিজেকে।
স্বরূপ ভুলে অস্থায়ী রুপকে আপন ভেবে,
চোখের জলের মধ্যে সুখ খুঁজে বেড়ানো।
কবে শুদ্ধ পবিত্র অনন্ত আত্মা রূপে ,
নিজেকে মেলে ধরবো ভুবন মাঝে,
ভিন্নতা ভুলে সব কিছুর ভিতরে প্রিয়,
দেখবো শুধু তুমিই রয়েছ বিরাজমান।