আত্মআলাপনী
আচ্ছা ধরুন যদি কখনো শিল্পসত্ত্বা ও জিজীবিষার মধ্যে সংঘর্ষ হয়?? তখন আপনি কোনটাকে বেছে নেবেন?? তবে আসুন প্রকৃত পেক্ষাপটে দৃষ্টিপাত করা যাক।।
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার পশ্চিমের ছোট্ট মনোরম গ্রাম কতুলপুর। পূবে শুশুনিয়া পাহাড়, উত্তরে বিহারিনাথ এবং পশ্চিমে দারকেশ্বর নদী বেষ্টিত এই গ্রাম যেন প্রকৃতির এক অপার সৃষ্টি। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এই গ্রামের রূপ-ও ধীরে ধীরে নতুন রূপে সজ্জিত হয়। গ্রীষ্মের খরতাপে পুকুর,খাল,নদী-নালা শুকিয়ে যায়। চারিদিকে রুক্ষ শুষ্ক ভাব।
জনমানব শুন্য মাটির রাস্তা আর মন মাতানো ঘুঘুর ডাক। আহা!সে কি অপরূপ তৃপ্তি। বর্ষার আবির্ভাবে আকাশে ভেসে বেড়ায় সজল মেঘমালা। এক নতুন জীবনের আশ্বাসে সবুজে সেজে ওঠে এ গ্রাম। অরুন আলোর অঞ্জলি নিয়ে হাজির হয় শরৎ। হেমন্তে শিশির আর হিমের পরশে মাঠের মঞ্জুরিত শস্যে ধরে সোনার রং। শীতের কুয়াশা ঢাকা সকাল আর উত্তরের হিমেল হওয়ায় জড়তার ভাব। গাছের পাতা ঝরে, আবার নতুন পাতা,ফুলে,ফলে ডাল গুলি নতুন ভাবে সজ্জিত হয়। সেই গ্রামেরই পূব সীমানায় বসবাস করেন হারান সোরেন।
কৃষিকাজ ও বাউল আখড়ায় গান করা মূলত এই-ই তার আয়ের প্রধান উৎস। পরিবার বলতে তার মেয়ে কুলু ছাড়া এ পৃথিবীতে তার আর কেউ নেই। মা,বাবা গত হয়েছেন সেই ছোটবেলায়। আর বিয়ের তিন বছর বাদে কলেরায় ভুগে স্ত্রী মারা যান। তখন কুলুর বয়স দেড় বছর মতন হবে। সেই থেকে কুলুকে কোলে পিঠে করে মানুষ করছে হারান।
মাটির বাড়ি ও খড়ের ছাউনি এই-ই তার সম্বল। বাড়ির লাগোয়া 5 কাঠা জমিতে ফল,সবজি চাষ করে যা রোজগার হয় তা দিয়েই টেনেটুনে কোনোরকমে সংসার চলে। তবে তাই নিয়ে তাদের বিশেষ আক্ষেপ নেই। তার বা কুলুর চাহিদাও সামান্য। খাওয়া-পড়া টুকু যুটে গেলেই তারা নিশ্চিন্ত। তার একদম নিজের বলতে লাউ কাঠের তৈরি একটি একতারা, যা তার খুব প্রিয়। সে কখনোই কোনোকিছুর বিনিময়ে সেটিকে হাতছাড়া করে না।
অভাবের সংসার, কতসময়ই তো দু তিন দিন খাবার জোটেনি, তবু তাও কখনো সেই একতারা বিক্রির কথা মাথায় আনেনি হারান। তার সুরেলা কণ্ঠের গান ও সাথে একতারার সওগাত যে কোনো মানুষের চোখে জল এনে দিতে সক্ষম,তা সে যত কঠিন মনের মানুষই হোক না কেন। গ্রামের লোকের মতে, মা সরস্বতী স্বয়ং তার কণ্ঠে অধিষ্ঠিত। গ্রামের আখড়ায় গান করে কতই না রাত ভোর হয়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই। কুলুর বয়স মাত্র চার, কিন্তু বয়স হিসাবে তার চেহারা সেভাবে ফুটে ওঠেনি। হয়তো ঠিকমতন পুষ্টিগুনসম্পন্ন খাদ্যের অভাবই তার জরাজীর্ণ চেহারার কারণ।
গ্রামের মধ্যিখানে জমিদার মশায়ের বাড়ি। সেটি বাদে এ তল্লাটে আর একটিও পাকা বাড়ি নেই। সেখানেই গ্রামের জমিদার রাজনারায়ণ সিংহ ও তার বর্ধিত পরিবারের বাস। মূলত মহাজনী কারবারই তার আয়ের প্রধান উৎস। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের জন্য পাইক ও লেঠেল বাহিনী নিয়জিত। জমিদার মশায়ের একটি মাত্র ছেলে, নাম দেবেন্দ্রনারায়ন। বয়স পনেরো বৎসর। বয়স পরিপক্ক না হলে কি হবে সে আদতে পাক্কা বদমাশ।
মদ,গাজা,চরস,চরিত্রের দোষ কোনো গুনই বাদ নেই। রাতের পর রাত সে পরে থাকে বহিঃবাড়ির বাঈজীমহলে। জমিদার পরিবারের একমাত্র উত্তরাধিকার ও সকলের নয়নের মনি হওয়ায় তার অন্যায় আবদার সকলে নির্বিচারে হজম করে। আগামী দোলপূর্ণিমায় জমিদার বাড়িতে গানের এক বিশাল জলসার আয়োজন করা হয়েছে। আসে পাশের দু গ্রামের গুণী ফকিররা সে আখড়ায় যোগ দেবেন। সারারাত ধরে গানের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। সেই জন্যই এক পাইক মারফত হারান কেও সেখানে উপস্থিত থাকার হুকুম দিয়েছেন জমিদার মশায়। উৎসবের দিন গোটা জমিদারবাড়ি সেজে উঠলো সন্ধ্যের আসরের প্রতীক্ষায়।
সুন্দর মখমলের গালিচা, চারিদিকে আলোর রোশনাই, ফুলের মালা আরো কত কি। কথামতন ঠিক সময় হারান উপস্থিত হলো তার একতারা সমেত। জমিদার বাড়ির উঠোনে একদিকে অলংকারখচিত সিংহাসনে বসে আছেন স্বয়ং জমিদার মশায়, পিছনে তার পরিবারের একাংশ ও মুখোমুখি অন্যপাশে গানের ফকিরের দল। আর একপাশে ত্রিপলের ওপর সারি করে বসা গ্রামবাসী ও অন্যান্য মানুষজন। হারানের জায়গা ফকিরি অংশে কেননা সেও এই জলসায় নিজের গান পরিবেশন করবে। ভাঙ ও মদের নেশায় চুর রাজেন্দ্রনারায়ণ টলতে টলতে নির্দিষ্ট চেয়ারে বসতেই জলসা আরম্ভ হলো। প্রথমে পরান ফকির, তারপর সুকুরুদ্দির গান শেষ হলেই ডাক পড়লো হারানের।
একতারা নিয়ে পিছন থেকে উঠে সামনের সারিতে বসেই সে জমিদার মশায়ের উদ্দেশ্যে করজোড়ে প্রনাম করলো। তারপর একতারা সহযোগে গান ধরলো “খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়”। গান শেষ হলে হাততালির আওয়াজে মণ্ডপ গমগম করে উঠলো। তারপর এভাবেই প্রায় সারারাত গান বাজনা, ভজন-কীর্তন চললো। জলসা শেষে হারানের গানে মুগ্ধ হয়ে স্বয়ং রাজেন্দ্রনারানয় মশায় তাকে দু টাকা দিয়ে পুরস্কিত করলেন।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে হারান চিন্তা করলেন এইবার তবে এই টাকা দিয়ে সে বাঁধাকপির চাষ করবে। সেইমতন পরদিনই বীজ,সার সংগ্রহ করে ফেলল। এভাবেই বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর হঠাৎ-ই একদিন জমিদার বাড়ি থেকে তার ডাক পারলো। সে দিনের মতন চাষের কাজ শেষ করে সন্ধ্যের প্রায় আগমুহূর্তে সে জমিদারবাড়ির ফটকের সামনে পৌঁছলো। ফটক থেকে সদর দরজায় পৌঁছতে পৌঁছতে সে ভাবলো জমিদার মশায় কি তবে তার গানে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে আরো কিছু দান করবেন। এমন সময় এক দারোয়ানের কর্কশ গলার আওয়াজে তার চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটলো। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর জমিদার মশায় আসতেই হারান করজোড়ে প্রণাম সারলো।
প্রসন্ন কণ্ঠে জমিদার মশায় বললেন, হারান, তোর গানে আমি মুগ্ধ। তোর গান আজও আমার কানে বাজে। তাইতো তোকে পাকাপাকিভাবে এ বাড়িতে পুষতে চাই। এটুকু শুনে হারান আমতা আমতা করতেই জমিদার মশায় বললেন, আমার খোকার গান শেখবার বড় শখ, তাইতো সে দায়িত্ব আমি তোকে দিতে চাই। মাসিক তিন টাকা বেতনসহ তোর ও তোর মেয়ের একবেলা খাবার পাবি। এই শুনে হারান গদগদ হয়ে প্রণাম করতেই জমিদার মশায় বললেন, আচ্ছা তবে আগামী পরশু থেকেই গান শেখানো শুরু করে দে। যদি ভালোভাবে খোকাকে গান শেখাতে পারিস তবে সাথে আরো পুরস্কার পাবি। জমিদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে মহানন্দে হারান বাড়ির পথে রওনা হলো।
বাড়ি পৌঁছে কুলুকে সব কথা জানিয়ে মনের উৎফুল্লতা প্রকাশের জন্য একটা খাসা গান ধরলো। রাতে খাওয়ার পর শুয়ে কুলুকে বললো, মা কাল থেকে আমাদের আর কোনো কষ্ট থাকবে না রে, আমরা তিনবেলা ভালো করে ভাত খেতে পারবো। তারপর মাথায় হাত বুলিয়ে কুলুকে ঘুম পাড়ালো। মনের খুশিতে সে রাতে ঠিক করে দুচোখের পাতা এক হলো না হারানের। পরদিন সকালে উঠে জমিতে যেতেই সে দেখতে পেল চারাগুলিতে ফুল ধরেছে। সে মনে মনে ভগবানকে স্মরণ করে বললো, এতদিনে তবে এই অভাগার দিকে তোমার সুদৃষ্টি পড়লো। তারপর জমিতে জল ও কীটনাশক দিয়ে বিকেল নাগাদ বাড়ি ফিরে এলো। বাড়ি ফিরতেই সে দেখতে পেল কুলু কাঁদছে।
কুলুর সামনে এগোতেই কুলু বললো, বাপ আমার খুব ক্ষিদা লেগেছে রে। রান্নাঘরে যেতেই দেখলো চালের ভাড়ার শুন্য, তখনই হারান ছুট লাগলো ব্রজ মুদির দোকানে। গ্রামে কথা হওয়ায় বয়, প্রায় সবাই জানত হারান জমিদাদের ছেলেকে গান শেখানোর বরাত পেয়েছে। আর সেই জন্যই হয়তো ব্রজ মুদি 500 গ্রাম চাল ও 200 আলু মাত্র এককথায় ধারে দিতে রাজি হযে গেল। চাল ও আলু সমেত হারান সোজা বাড়ি ফিরলো। তারপর ভাতে ভাত করে বাপ বেটি দুটো খেয়ে শুয়ে পড়লো। পরের দিন যথাসময়ে হারান তার একতারা নিয়ে হাজির হলো জমিদার বাড়িতে। রাজনারায়ণ মশায় তাকে একটি ঘরে বসিয়ে ছেলেকে ডাক পাঠানোর বেশ কিছু পরে টলতে টলতে হাজির হলো ছোটকর্তা অর্থাৎ সকলের নয়নের মনি দেবেন্দ্রনারায়ণ। নেশার ঘোরে ধপ করে মাটিতে বসেই সে বললো, এই একটা খাসা গান ধর আগে, শুনি।
হারান তার কথামতন একটা বাউল গান শোনালো। যদিও সে গান রাজেন্দ্রনারায়নের কানে কতটা পৌঁছলো তা সে নিজেই জানে। তারপর অর্ধ ঘুমে অচৈতন্য অবস্থায় সে বললো, এই আজ বাড়ি চলে যা, আজ আর কিছু শুনবো না। একজন পাইক রাজেন্দ্রনারায়ণকে তুলে অন্দর মহলে নিয়ে যেতেই হারান বাড়ি ফিরে এলো। বাড়ি ফিরে সারারাত ভাবলো এ ছেলেকে কি আদেও সে গান শেখাতে পারবে, যে কি না শিল্পের কদরই বোঝে না তার দ্বারা কি গানের মর্ম বোঝা সম্ভব। কিন্তু পাচ্ছে জমিদারমশায় অক্ষুন্ন হয় তাই বেশ কিছুদিন প্রায় এইভাবেই চলতে থাকলো।
একদিন সকাল বেলা চাষের জমিতে যেতেই হারানের চোখ আনন্দে স্থির হয়ে গেল। শীতের শুরুতে তার জমি পরিপূর্ন হয়েছে বাঁধাকপিতে। সে ভাবলো, এর মধ্যেই একদিন বাঁধাকপিগুলো হাটে নিয়ে যেতে হবে। হাতে টাকাকড়ি বিশেষ নেই, এতে করে হাতে কিছু টাকা কড়িও আসবে। সেদিন সন্ধ্যে বেলা ঘটলো আরেক অঘটন। নির্দিষ্ট সময়ে জমিদার বাড়িতে গান শেখাতে গিয়ে হারান দেখলো দেবেন্দ্রনারায়ণ সেখানে নেই, একটু পর এক পাইক আসে জানালো ছোটকর্তা নাকি তাকে বাঈজী মহলে ডাকছেন। জড়সড় হয়ে সেই ঘরে পৌঁছতেই দেবেন্দ্রনারায়ণ বললেন, এই হারান তুই গান ধর, আজ গান সহযোগে বাঈজীর নাচ দেখবো। হারান বাধ্য হয়ে নিচু স্বরে বললো, না কর্তা, সে কাজ আমি পারবো না, আমি শিল্পী তাই শিল্পের অবমাননা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
এই শুনে দেবেন্দ্রনারায়ণ বেজায় চটে গেলেন, মদের নেশায় টলতে টলতে উঠে এক ধাক্কা দিয়ে হারানকে ফেলে দিলেন। আর সাথে সাথে হারানের হাতে ধরা একতারাও খসে পড়লো মাটিতে। মাটি থেকে একতারাটা তুলে অশ্রু ভরা নয়নে বাড়ি ফিরল হারান। কুলুকে জড়িয়ে ধরে বেশ কিছুক্ষণ কাঁদলো, হাত থেকে পড়ে যাওয়াতে একতারার একপাশ ঘষে গেছে, ভালোমতন আওয়াজও আর নেই। সে মনে মনে ঠিক করলো অনেক হয়েছে আর নয়! শিল্পের প্রতি অসন্মান মেনে নেওয়া তার দ্বারা আর সম্ভব নয়! কাল সকালে গিয়ে সে জমিদারমশায়ের কাছে মাপ চেয়ে আসবে। পরদিন সকালে ক্ষেতের সব বাধাকপি তুলে সে যখন জমিদারবাড়ি পৌঁছলো তখন সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়েছে। সব শুনে জমিদার মশায় বেজায় চটে গেলেন, বললেন, তুই আমার ছেলের নামে বদনাম করিস, তোর এত বড় সাহস! আচ্ছা বেশ তোর ব্যাবস্থা আমি করছি। হারান আর কোনো প্রতিবাদ না করে চুপচাপ বাড়ি চলে এলো। পরদিন সকালে বাধাকপি গুলোকে বস্তায় ভরে সে হাটে গিয়ে বসলো, কিন্তু অবাক বিষয় সারাদিন বসার পরেও একটা বাঁধাকপি পর্যন্ত কেউ কিনলো না।
ভারাক্রান্ত মনে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সে কানাঘুষো শুনলো তাকে নাকি জমিদার মশায় একঘরে করেছেন, আর সেই জন্যই তার থেকে কেউ কোনো মাল কিনবে না। বাড়ি ফিরতেই কুলু দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বললো,বাপ তুই ট্যাকা এনেছিস, আজ তবে ভাত খেতে পারমু। এমন সময় হারানের মনে পড়লো ভাড়ার শুন্য। তাই সে ছুটলো ব্রজ মুদির দোকানে কিছু মাল আনতে। হাতে টাকাকড়ি না থাকায় ব্রজ মুদি স্পষ্ট জানিয়ে দিলো আগের দেনার টাকা শোধ না করলে আর সে ধারে মাল দেবে না। বিষণ্ন মনে বাড়ি ফিরতে ফিরতে হারান ভাবলো, কি কুক্ষণে যে সে ওবাড়ির ছোটকর্তাকে গান শেখানোর ভার নিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে কুলুকে মানিয়ে কোনোমতে ঘুম পাড়িয়ে, এক ঘটি জল খেয়ে সেও শুয়ে পড়লো। অনেক রাত অব্দি ভেবে স্থির করলো, যা ই হয়ে যাক না কেন শিল্পের অবমাননা তার দ্বারা সম্ভব নয়।
পরের দিন অর্ধপচা বাঁধাকপি সেদ্ধ করে বাপ বেটি খেল ও পচে যাওয়ার ভয়ে বাকিকটা শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে খেলে বেড়ানো গরু-মহিষদের খাওয়ালো। এইভাবে তিনদিন চলার পর খাবারের অভাবে জ্বরে ভুগে কুলু মারা গেল, শেষ সময় হারানের কাছে সে একটু ভাত খেতে চেয়েছিলো আর হারান এতটাই অপারক যে শেষ সময়ও মেয়েটির ইচ্ছা পূরণ করতে পারে নি। পরের দিন দুপুরবেলা মাটিতে আছড়ে হারান তার সাধের একতারাটা ভেঙে ফেললো, এবং সেই একতারার ধাতব ছিলা গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করলো।
মৃত্যুর শেষ ক্ষনেও সে মনে মনে ভেবেছিলো, প্রাণ যায় যাক তবু শিল্পের প্রতি অসন্মান ও অবমাননা তার দ্বারা সম্ভব নয়।।