[post-views]
[printfriendly]
এখনও হোঁচট খাইনি শুক্লপক্ষের রাত-আকাশে
যেখানে অদ্যাবধি কোনরকম মুদ্রণ বিভ্রাট নেই
এ যাবৎ চোখে পড়েনি চন্দ্রিমার কোনো শরীর খারাপ
কিম্বা ভাইরাস আক্রান্ত ক্লাইমেক্সে পূর্ণিমার বেজাড় মুখ
অর্থাৎ তুমি চির অনাক্রান্ত চাঁদ– আশাতীত নিরাপদে
ছিদ্রহীন তুমি অবলীলায় পৃথিবী প্রদক্ষিণের নিমগ্নতায়
তোমাকে ছুঁতে পারেনি মর্ত্য সংক্রমণের উর্ধ্বগামী স্পর্ধা……
যারা শুধু কলঙ্ক খোঁজে তারা অলংকার বোঝেনা
তোমার কলঙ্ক বিষয়ক মিথ্যে গল্পেরা এখন আপাদমস্তক ক্লান্ত
আসলে, পরনির্ভরতা কলঙ্কই তোমার হার্ট
পরনির্ভরতা কলঙ্কে আজন্ম অলংকৃত তুমি
ঘরে-বাইরে আদিত্যই তোমার কবচকুন্ডল
ঐশ্বরিক চেতনায় যে তোমাকে খুঁটে খুঁটে পড়তে জানে
একমাত্র সেই বোঝে নিগূঢ় চন্দ্রতত্ত্ব বাউল
সনাতন রূপকে তুমি সহনশীলতার অনন্ত উদারতা
তুমি মানে : সহনশীলতার অব্যর্থ বীজমন্ত্র…….
এখানে মানুষেরা মানে একটা জটিল অঙ্ক
আপন কলঙ্ক আড়াল করে খোঁজে অন্যের পাপ
উপকারের প্রতিদানে আকেঁ তীব্র পদাঘাত –
খুব বেঁচে গ্যাছ চাঁদ , তোমার মাটিতে মানবাবাদ নেই
তাই বেহিসাবী জিন্দাবাদের আঁচ নেই , প্রহসনের ভেল্কি নেই
ক্ষরণ নেই, দহন নেই , নেই অবক্ষয়ের ঝলাস
তোমাকে জয় করে তোমার মাটিতে যারা পতাকা উড়িয়েছিল
আসলে মানুষের কাঠামোয় তারা ছিল প্রায় ঈশ্বর মস্তিষ্ক
সেই সমৃদ্ধ সূত্র ধরেই আমিও খুঁজছি নতুন উপাখ্যান….
জ্যোতিষ ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাকে পাশ কাটিয়ে
যারা পড়ে আছে চরকাকাটা বুড়ি রূপকথায়
আজও তারা বিশুদ্ধ উচ্চারণে তোমাকে মামা ডাকে
রাত কান্নায় অধীর শিশুদের কপালে পরায় তোমার টিপ
পূর্ণিমার অথৈ চন্দ্রিমায় অবগাহন করে শুদ্ধ করে জন্ম
শুদ্ধ করে প্রেম ও পরান ……..
টানা বর্ষায় কতদিন ঢেকে আছো মুখ মেঘাঞ্চলে
নিম্নচাপ হাল্কা হলে ফাঁক বুঝে একদিন এসো
সপ্তর্ষির উঠোন ঘুরে, ছায়াপথ ধরে আমার জানালায়
জানালা ছুঁয়ে সাক্ষী থাকবে এক বৃদ্ধ বিল্বগাছ
বিল্বগাছে বসে থাকতে পারে লক্ষ্মীর যুগল বাহন
তোমাকে শোনাব অজস্র অপ্রত্যাশিত সন্ধির সাতকাহন
তোমাকে শোনাবো আমাদের মুন্ডহীন কণিষ্ক সময়
খুব বেঁচে গ্যাছ চাঁদ , তোমার মাটিতে মানবাবাদ নেই
না হয় প্রদক্ষিণের ফাঁকে একান্ত আলাপচারিতায়
বুঝে নিয়ো পৃথিবীর হাল-হকিকত ….।