একটা প্রশ্ন – শম্পা সাহা

শ্যামলীকে রথীন জিজ্ঞাসা করেছিল”তোমার আমার কথা মনে পড়ে? “সে দিন প্রায় ষোলো বছর পর ওদের দেখা। 

  শ্যামলী আর রথীন সেই কিশোর বয়সের প্রেমিক যুগল, যাদের সম্পর্কের শুরু সেই হাইস্কুল থেকে, তখন দুজনেই পড়ে তারাসুন্দরী উচ্চবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণিতে। সেই কিশোর বেলায় প্রেম বড় পবিত্র ছিল, বড় স্নিগ্ধ। তারপর যত বড় হতে লাগল ততই বোঝা গেল যে রথীন প্রেমিক হিসেবে ভাল হলেও জীবন সঙ্গী হিসেবে ভাল হবে না কারণ ওদের সম্পর্কের সাত বছর গড়িয়ে গেলেও রথীন কিছুই করে উঠতে পারছিল না,এদিকে মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে যাচ্ছে । তাই শ্যামলীর বাবা মা ওর অমতেই বিয়ে দিয়ে দিল প্রায় মাঝবয়সী সরকারি চাকরিওলা  এক পাত্রের সঙ্গে। তারপর আর রথীন শ্যামলীর দেখা হয়নি। 

   কিন্তু গত জানুয়ারিতে হঠাৎই একটা বিয়ে বাড়িতে ওদের দেখা। চাপদাড়িতে রথীনকে চিনতে কষ্ট হলেও রথীন নিজেই এগিয়ে এসে কথা বলেছিল। কথায় কথায় জানা গেল রথীন আজো বিয়ে করেনি আর করবেও না কারণ শ্যামলীর জায়গাটা ও অন্য কাউকে দিতে পারবে না। শ্যামলী লজ্জা, দুঃখ অপরাধবোধে মাটিতে মিশে যাচ্ছিল। একটা বুক ফাটা কান্না বার বার এই প্রশ্নটাই করছিল, “কেন? কেন? কেন ঈশ্বর এত ভালবাসা সত্বেও আমরা একসাথে থাকতে পারলাম না? কেন? কেন? “

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *