আমার অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি বুকে জড়িয়ে তুমি বললে –
আজও শেষ করলে না মনোময়?
ভাষাহীন,শূন্যতার দৃষ্টি মেলে ধরি অনন্ত অসীমের পানে-
ধরণী তলিয়ে যাচ্ছে জলজগুল্মের অন্তরালে
চেতনা ক্রমশই বিলীন অবনমন বিস্মৃতির দুঃস্বপ্নে,
তাই নির্দ্বন্দ্ব সহগম্যতা সৃষ্টির বিলাসে ছিলাম মাতোয়ারা।
জাগরণ আর উত্তরণের গানেই কেটেছিল উচ্ছল,উদ্দ্যমী যৌবন।
বলো তো শেষ কি কখনো হয় নিঃসঙ্গতা ?
এতো আসলে এক নিরন্তন প্রবাহমুখী অবচেতনেই পথচলা,
তাই কাব্যে প্রত্যয়ী থাকি ,কতকিছু বাকি- চালচিত্র অঙ্কনে।
এখানে প্রতিটি পদক্ষেপেই ইতিহাস কথা বলে,
আমার এ চলা আলোর উন্মোচনে,
আলোর দিকে,সম্পন্নতার দিকে,মন-মনন আর-
অসমাপ্ত আরোগ্য নিকেতনের উদ্দেশ্যে।
সহজতা ও মানবতার মেলবন্ধনে এক-
অত্যাশ্চর্য নেশাকীর্ন অদম্য পরিক্রমা আমার,
তাইতো জীবনের দ্বারে,দ্বারে ভালোবাসার প্রকোষ্ঠে
কবিতার অক্ষরে অক্ষরে সম্ভবনার এক উত্তাপ ছড়াই।
যাওয়া- আসার পথে পথে একদিন সুখের সাথে ভাব হলো,
বুকের মাঝে সঞ্চিত দুঃখগুলো জ্বলে উঠলো- রাগে,ক্ষোভে,প্রতিহিংসায়,
বিস্তারিত জীবনের অঙ্গনে শুরু হলো অপাংতেও মর্যাদার লড়াই।
আমার অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি বয়ে আজও চলেছি আরোগ্য ভূমির উদ্দেশ্যে।
সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।