দিন শেষে নীড়ে ফেরার তাড়া!
কেউবা ছুটছে দিগন্ত থেকে দিগন্তে.
কারো ব্যাগ ভর্তি স্বপ্নের আসবাবপত্র।
মা তবু নির্বাক, নিরব, নিথর দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
পলকহীন চোখে চেয়ে থাকে গোরস্তানের দিকে!
টুপটাপ শিশিরের জল পড়ে কাঁঠাল পাতা ছুয়ে ছুয়ে মাটিতে।
মায়ের চোখের শিশির বিন্দু ঝড়ে পড়ে।
শিশিরের জলে বিলীন হয় মায়ের চোখের শিশিরের বিন্দু।
রাত বাড়ে ঝিঁঝি পোকা ডাকে
জোনাক পোকা খেলায় মাতে
কৃষ্ণচুড়ার ডালে পেঁচা জাগে।
সব ঘরের বাতি নিবে গিয়ে হয় অন্ধকার।
জোছনার ফুল ফুটে গোরস্থানে!
মা মুগ্ধ চোখে হাসি মুখে চেয়ে থাকে গোরস্তানের দিকে।
রাত শেষে ভোর হয় পাখিরা ছুটে দেশ দেশান্তরে!
শিমুলের ডালে ডালে কোকিলের বিচরণ।
মাটে মাটে সবুজ অরণ্য,
সোনার ফসল হাসিমাখা মুখ।
কতো উল্লাস -কতো তৃপ্তির হাসি।
মা তবু নিথর নিরব দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
চেয়ে থাকে গোরস্তানের দিকে!
মার কোনো তৃপ্তির হাসি নেই
মার কোনো উল্লাস নেই.
নেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার তাড়া।
মা পলকহীন চোখে চেয়ে থাকে দিবস রজনী গোরস্তানের দিকে।
কবিতা : আমার মৃত্যু -মায়ের অপেক্ষা!
২৯-০৩-২০২১
বিল্লাল হোসেন