এক
আমাকে ভাঙো
শাবল গাইতি হাতুরি দিয়ে
আমার শরীরে যতো
ঘুনধরা ইট আছে
সেগুলি করো চূর্ন বির্চূন
আমার দেহে যতো
আছে হিংসা
আগুনে পোড়াও
আমার বুকের ভেতর
যতো আছে ভালবাসা
ছড়িয়ে দাও বিপন্ন মানুষের রক্তে।
দুই
কেন সাম্যবাদ নিয়ে
এতো চিৎকার
কেন এতো মিছিল
কেন এতো শ্লোগান
কেন এতো মিন্টিং
আজও কি একটা সরল রেখা
ছুঁয়ে আছে সবার জীবন?
এসো আমার সংগে
এখানে শ্মশান
পুড়ছে সাম্যবাদ।
তিন
আর কি চাই তোমার?
দিয়েছি অলংকার
জামদানি শাড়ি
বেশ বড় ফ্ল্যাট
লিমুজেন গাড়ি
তিন কাটা জায়গা
দিয়েছি সন্তান।
বুকের ভিতর একটা যন্ত্রণা
কোনদিন চাইলে না ভালবাসা।
চার
যতো মহার্ঘ জিনিস
ধরে আছো বুকের ভিতর
প্রজাপতি ফড়িং পাখি
এদের দিকে তাকালে না কোনদিন
যতো মহার্ঘ জিনিস
ধরে আছো বুকের ভিতর
সমুদ্র নদী পাহাড় চাঁদ
এদের কাছে গেলে না কোনদিন
আজ সব ফেলে চলে যাচ্ছো
যতো মহার্ঘ ছিল বুকে
আগুন গিলে নেবে মূহুর্তে
যদি চোখ দিয়ে দেখতে এই পৃথিবী
কোথাও থেকে যেতো
তোমার মাটিমাখা পদচিহ্ন।
পাঁচ
পৃথিবীর সব আলো নিভে গেলে
তুমি জাগিয়ে তোলো বুকের চাঁদ
সব প্রেম মরে গেলে
তুমি দরজা খুলে দাও হৃদয়ের।
তুমি আছো বলে
ফুটপাথের মানুষ গুলি
খিদে ভুলে ভালবাসার গান ধরে।
ছয়
নূপূরের শব্দ হবে, পায়ে বেঁধে নিলে কাপড়
অঢেল জ্যোৎস্না ঠেলে দাঁড়াও কৃঞর কাছে
তুমি রাধা, তুমি প্রেম, তুমি ভালোবাসা
তোমার কাছ থেকে শিখেছে মানুষ
প্রেমের বিরহ, . প্রেম গাথা, প্রেমকথা
অথচ তুমি আয়ান ঘোষের স্ত্রী!