এক
আমার কোন খেদোক্তি নেই জীবন নিয়ে
পাওয়া না পাওয়ার খাতাটা
উড়িয়ে নিয়ে গেছে বাউল বাতাস
আমি বাতাসের কাছে কৃতজ্ঞ।
দুই
ছয় মাস ছয় দিনের প্রেমে
তোমায় দিয়েছি ছটি চুম্বন
দুটি তোমার মুদ্রিত আঁখিতে
দুটি তোমার হালকা কমলা ঠোঁটে
বাকি দুটি দিয়েছি তোমার বুকের উপত্যকায়
তুমি বললে, ‘মিথ্যে। পুরুষ কতো চুম্বন করে
নারী কি তার হিসেব রাখে?
তিন
একবার গিয়েছি মেদিনীপুর
বন্ধুর দিদির বাড়ি
সন্ধ্যায় গেলাম মেলায়
তখন চোখে যৌবন
উঠে পড়লাম ইলেকট্রিক নাগর দোনলায়
সে কি অনবদ্য অনূভতি!
উঠে যাচ্ছি মহা শূন্যে
নেমে আসছি পাতালে
সে কি ভয়!
সে কি আনন্দ!
সে কি উত্তেজনা
সমুদ্রের মহা ঢেউ
সে কি বিপন্নতা
মৃত্যুর মতো নাচে
কোন নারী আজও আমাকে
দেয়নি এইসব মহাঘ্য অনুভূতি।
চার
হত্যা করেছি কতো প্রেম
ঘাতকের মতো নিস্পাপ হাতে
কতো অপ্রেম বেঁচে আছে
বুকের চোরা কুঠির ঘরে
কেউ আছো কি?
একবার তাদের টেনে বার করো তো
দেখি তারা ধূষর হয়েছে কিনা?
রুগ্ন হয়েছে কি তাদের শরীর?
প্রেম অমৃত, রাংতার মতো করে ঝলমল
অপ্রেম একটু একটু করে খায়
গ্রহণের সৃর্যের মতো।
পাঁচ
একটা বয়সের পর একজন মানুষ
নিজেই বহন করে তার মৃতদেহ
একটা পিঁপড়ের মৃত্যু হলে
মূখে তুলে নেয় আর একটি পিঁপড়ে।
পিছনে থাকে পিঁপড়ের দীর্ঘ শোক মিছিল ।
নিজের শব নিজে নিয়ে যায় শ্মশানে মানুষ
কোন দীর্ঘ কেন, স্বপ্ল মিছিলও হাঁটে না পিছনে।