এক
এই যে এতো ভালোবাসাবাসি
এই যে নিবিড় ঘন ঘন চুম্বন.
আলিঙ্গনে বড় সোহাগ.
এলোকেশি চুলের বাহার.
চোখের এতো যে মুগ্ধতা
চারদিকে এতো আলোর ছটা.
কোন যাদুকরের হঠাৎ ছুঁ মন্তে.
নিমিষে সব ঘন অন্ধকার.
হাতের মুঠোর মতো ছোট্ট এই জীবন.
বলো কেন এতো অহংকার।
দুই
তুমি ছিলে গোটা একটা মানুষ
তোমাকে ছিন্ন করে জন্ম নিল জ্যোৎস্না কন্যা
তোমাকে ভেঙে সৃষ্টি হলো অজুর্ন পুএ
তোমাকে হত্যা করে চলে গেছে স্ত্রী
তুমি দেখলে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে
তুমি দেখলে অশোকের চোখে
এই মায়াময় পার্থিব সংসার।
তিন
চলে যাচ্ছে যাও
যেভাবে উড়ে যায় পরিযায়ী পাখি
যে ভাবে চলে যায় পরিযায়ী শ্রমিক
যেমন ঝড়ে যায় গাছের হলুদ পাতা
যাযাবর হয় মরুরাজ্যের মানুষ
শুধু যাবার আগে একবার
ভালো করে দেখে নাও
এখানে ফেলে যাচ্ছো না তো কিছু?
চার
সম্পর্ক কেমন জানো তুমি?
একটা সরু সুতোর মতো
একটু টান পড়লে হয় ছিন্ন
রোদে পুড়ে পুড়ে হয় কালো
জলে ঝড়ে ভিজে হয় নরম
এক সময় ধরে অদৃশ্য পচন
সব ডালপালা ফুল ফল পাখির কুঠির
নিশ্চিহ্ন হয়ে একজিবেশনে শোভা পায় একা।
পাঁচ
রাত দিন বাজে না আর রিং টোন
আমার পরান যাহা চায়
কতদিন শুনি নি ইনকামিংএ
পড়বে না মোর পায়ের চিহ এই বাটে
আগে সারাদিন ফোনের কতো বর্ষা
এখন করোনায় আক্রান্ত মানুষের পাশে তুমি
আমার পাশে একঢাল মরুভুমির হলুদ শূন্যতা
ছয়
বুক উজার করে দিয়ে যাবো
আজ সব তোমায়
গীতবিতান রুপকথা