প্রিয়তমাষু,
সুনয়না আমার,
চিঠি লিখে লিখে তুমি বোধহয় ক্লান্ত,
কিছু মনে করো না
তোমার চিঠি পড়ে আমিও বিভ্রান্ত,
তুমি কখন কি সাজে সাজ !
অনেক চেষ্টা করেও
বুঝি না তোমায় আমি আজও।
অনেকদিন দেখা নেই তোমার,
পারলে একবার দেখা দিও,
কিছু তো চাই নি আর
পেতে চাই না তোমায়
শুধু দেখতে চাই একবার
বোধ হয় আপত্তি করবে না ;
আর যদি আপত্তি থাকে !
আমাকে জানিও, সংকোচ কর না
বড়জোর নিজেকে দুর্ভাগা ভাববো,
সেটা দুর্ভাগ্য আমার,
তবে সত্যিটা তো জানবো
সত্যের পক্ষ নিয়ে
মিথ্যার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস হানবো।
এখনো বাকি অনেক কাজ
সত্যটা জানা খুব জরুরি
ডেঙ্গু বা দূষণের মত আজ
মিথ্যার রোগ হয়ে উঠেছে মহামারী
তার থেকে তো রক্ষা পাবো !
যদি আক্রান্ত হই
চিকিৎসার সুযোগ নিয়ে
সেরে ওঠার চেষ্টা করতে পারি,
জান তো তুমি
সেরে ওঠাটাও যে জরুরি,
তবে সেরে উঠব কি না জানি না ;
অবশ্য সেটা, মানে, না সেরে ওঠাটা,
আমার দিক থেকে ভালো
তোমার দিক থেকেও মন্দ না,
অযাচিত পাবার আকাঙ্খা থেকে মুক্তি
তুমিও আর পাবে না যন্ত্রনা
চিঠি লিখতে হবে না দিস্তে দিস্তে
পয়সাটা বেঁচে যাবে
আর তোমার দেখা পাওয়াটাই যেখানে মিথ্যে ।
তাও তোমার দেখা পাবো, আশা রাখি
নিজের নামের প্রতি অবিচার করবে না তুমি
আমি দ্বিধাহীন সত্যের অপেক্ষায় আবার,
তোমার কাজল কালো টানা টানা চোখ
যদি দেখা দেয় একবার,
মূক আমি, কথা হারা
আর আমার প্রেম!
সত্যের আকাশে ধ্রুবতারা ।
.
.
তোকে নিজের করে পাবার তরে।
পাঁচটা বছর বিদেশে ঘুরে।।
বাড়ির পাশে থাকবো বলে।
ফিরলাম আবার আপন নীরে।।
ফিরে দেখি সব আশা।
হয়েছে আজ নিরাশা।।
তুমি নতুন সখার সাথে।
বেঁধেছে নিজের সুখের বাসা।।
বেশ ভালই আছো নিজের মতো।
ভূলেছ সব স্মৃতি যত।।
তোমায় নিয়ে দেখা স্বপ্ন কত।
আজকে যেনো ক্ষত।।
আর নেই কো মনে কোনো আশা।
সুখ পাখী আর বাঁধেনা বাসা।।
তাই হলাম আবার ভিন্ন দেশী।
করবো না প্রেম স্বদেশী।।
.
.
সোনাপুষি মানাপুষি
রাগে কেন ওঠো ফুঁসে
গুড়ো দুধ গুলে দিই
খেয়ে নাও চুষে চুষে।
ঐ দেখ সোনাদিদি
দুধ খায় হেসে হেসে
তুমিও দিদির মত
খেয়ে নাও ভালবেসে।
ভরা পেটে ছোটোহাঁটা
মন খুশি কাজ করো
কিংবা বেজায় হাই তুলে
চুপচুপ শুয়ে পড়ো।