★পুরনো এলবাম থেকে★
(টুকটাক কবিতা লিখতাম তখন। আমার ফেসবুক আইডি ‘পাবলো পিকাসো’ থেকে নিত্যনতুন অনেকের সাথেই পরিচয় হয়ে যাচ্ছিল। কিশোর বয়স তখন। ফেসবুকে নারী আইডি দেখলেই মনে দোলা দিত। হাই, হ্যালো দিয়ে মেসেজিং করার চেষ্টা করতাম৷ কলেজে থাকাকালীন সেভাবেই পরিচয় হয় একসময় ভার্চুয়াল বান্ধবী বনে যাওয়া ‘শাওলিন আশরাফী রিক্তি’ -এর সাথে। আমাদের দেখা হয়েছে মোটে দুইবার। ভার্চুয়ালেও সে আমার দ্বিতীয় বান্ধবী। প্রচুর কথা হতো আমাদের র্যান্ডমলি। একদিন ও এসে ওর শিউলি গাছের কথা বললো আমায়। ঝড়ে না-কি ভীষণভাবে আহত হয়েছে। আমার মাথায় তখন শুধুই কবিতা ঘোরাঘুরি করত এবং অবশ্যই তা যে প্রেম বিষয়ক ছিল, তা বলাই বাহুল্য। তখনি মনে হয়েছিল, একটা কবিতা লেখা দরকার, শিউলি ফুল নিয়ে। প্রথম প্যারা লিখে ফেলার পর ভাবলাম এটা দিয়ে গানই রচনা করা যায়। যদিও সুরের আগামাথা তখনও বুঝতাম না, এখনও না। তবুও মনে মনে গান ভেবেই লেখা শুরু করে দিয়েছিলাম। এভাবেই আমার প্রথম লেখা গানের কথা তৈরি হলো। এখনও অবশ্য তা কারও গলায় প্রতিফলিত হয়নি। প্রতিফলিত না হলেও একে আমি গান হিসেবেই দেখে যাব। শিউলি নিয়ে অবশ্য আরেকটি কবিতাও লিখেছি। সেটাও প্রকাশ করা হবে এখানে)।
অনেক সময় হয়েছে প্রিয়
সরাও মনের তালা,
তোমার গলায় পরিয়ে দেবো
শিউলি ফুলের মালা গো
শিউলি ফুলের মালা।।
অনেক রেখেছ খুলে তুমি
এবার বাঁধো তোমার চুল,
তোমার খোঁপায় পরিয়ে দেবো
সূর্যমুখী ফুল গো
সূর্যমুখী ফুল।।
অনেক সময় রেখেছ খালি
আর করো না বোকা,
তোমার হাতে পরিয়ে দেবো
বকুল ফুলের থোকা গো
বকুল ফুলের থোকা।।
কোনদিনও শুনিনি আমি
তোমার নাচের সুর,
তোমার পায়ে পরিয়ে দেবো
বেলী ফুলের নূপুর গো
বেলী ফুলের নূপুর।।
যেমন আছে তেমন থাকুক
তোমার কানের দুল,
তোমার কানে গুঁজে দেবো
লাল গেন্দা ফুল গো
লাল গেন্দা ফুল।।
সবশেষেতে দেবো তোমায়
সবুজ রঙের শাড়ি,
পালকি করে নিয়ে যাবো
তোমার শ্বশুরবাড়ি গো
তোমার শ্বশুরবাড়ি।।
এস. এম. রায়হান চৌধুরী