” আর কতক্ষণ! এরপর দেরি করলে তো অঞ্জলি শুরু হয়ে যাবে , সবাই বলবে বছরে একটা দিনও তাড়াতাড়ি আসতে পারিস না !” বিরক্ত হয়ে বলল দুতান।
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পায়জামা- পাঞ্জাবি পড়ে দুর্গা পুজোর মহাষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে। চা টুকু পর্যন্ত খায়নি। অথচ ওর বউ তিথির এখনও হয়নি।
“কী হল আর কত সাজবে ! এই সকালবেলা কে দেখবে? এবার চলো।” দুতান তাড়া দিল।
“আরে একটু সবুর করো, আমার এই শাড়ি ম্যাচিং করা মাস্কটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না । চলো চলো আর দেরি কোরো না।” মুখে মাস্কটা লাগিয়ে বলল তিথি।
” মন্ডপে যাওয়ার আগে একবার ফুলের দোকানে যেতে হবে ।” বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিথিকে বলল দুতান।
” ফুলের দোকানে কেন? এবার তো করোনার জন্য ফুল ছাড়াই অঞ্জলি হবে বলেছে। ” অবাক হয়ে জানতে চাইল তিথি।
” আমাদের তো মন্ডপেই বোধহয় ঢুকতে দেবে না। নো-এন্ট্রি। বাইরে দাঁড়াতে হবে । কিন্তু ফুল ছাড়া যাই কী করে বল! এতদিনের অভ্যাস।” দুতান বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করল ।
” মাস্ক, স্যানিটাইজার এসব কী আমাদের অভ্যাস ছিল? নিউ নর্ম্যালে নতুন অভ্যাস তো করতেই হবে ।” তিথি বলল।
” সে সব তো বুঝলাম, করছিও তো , কিন্তু অঞ্জলি দেব কী দিয়ে !” হতাশা মেশানো গলায় বলল দুতান।
মন্ডপের দিকে এগিয়ে চলা তিথি বেশি কথা না বাড়িয়ে ছোট্ট করে দুতানকে বলল ” ভক্তি দিয়ে ।”